পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ > JDS আমাদের দেবতারা পদোর মার দোকানে আহারাদি করিয়া অপরাহে আলোপীবাগে আলোপীদেবী দর্শনে যাত্রা করিলেন । ত্রিবেণীতীর হইতে এই মন্দির এক মাইল দূরে অবস্থিত। মন্দিরের সম্মুখে অনেকগুলি বৃহৎ বৃহৎ বৃক্ষ ও শিবমন্দির আছে ; তথায় উপস্থিত হইয়া পদ্মযোনি কঙ্গিলেন, “আহা ! স্থানটীতে এসে মনে মেন এক অভিনব ভাবের উদয় হইল । আলোপী দেবীর উৎপত্তির কারণ কি বরুণ ?” বরুণ । দক্ষালয়ে শিবনিন্দাশ্রবণে সতী প্রাণত্যাগ করিলে দেবাদিদের মহাদেব ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়। সেই ঘৃত-শরীর মস্তকে বহন করিয়া ত্রিলোক ভ্রমণ করিতে লাগিলেন ; নারায়ণ তদর্শনে নিজ চক্র দ্বারা ঐ শব ৫২ খণ্ডে বিভক্ত করেন। সেই ৫২ খণ্ডের এক এক খণ্ড যে যে স্থানে পতিত হয়—দেবী সেই স্থানে অদ্যাপি এক এক মূৰ্ত্তিতে বিরাজ করিতেছেন । প্রয়াগে তাহার দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলি পড়ায় আলোপী-দেবীমূর্তি হইয়াছে। দেবগণ মন্দিরে প্রবেশ করিয়া দেখেন, দেবী এক বৃহৎ তাম্র-সিংহাসনের উপর বিরাজ করিতেছেন। মন্দিরের চতুদিকে বসিয়া ব্রাহ্মণগণ সুমধুরস্বরে বেদপাঠ করিতেছেন । এস্থান হইতে দেবতারা মুখুধ্যে ব্রাহ্মণদিগের পূর্বপুরুষ বিখ্যাত ভরদ্বাজ আশ্রম দেখিতে চলিলেন । রাস্তার উভয় পাশ্বে শ্রেণীবদ্ধ বৃক্ষ থাকায় সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বড় শোভা ধারণ করিয়াছিল। ঘাইয়া দেখেন অনেকগুলি শিবমন্দির রহিয়াছে । তাহার উপস্থিত হইবামাত্র পাণ্ডাদিগের যুবতী কন্যারা পয়সার জন্ত এমন বিরক্ত করিতে লাগিল যে পলাইয়া আসিতে বাধ্য হইলেন। দেবগণ সে রাত্রি পদোর মার দোকানে কম্বল মুড়ি দিয়া কাটাইয়া প্রাতে বেণীঘাটে স্বান করিতে চলিলেন । ঘাটে উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ! এই মন্দিরাধিষ্ঠিত বিষ্ণুমূৰ্ত্তির নাম কি ?” বরুণ। বিষ্ণুমূৰ্ত্তির নাম বেণীমাধব । বেণীমাধবের নাম অনুসারে