X8 o দেরগণের মর্ত্যে আগমন ঘাটের নাম বেণীমাধবের ঘাট হইয়াছে। শ্রীরামচন্দ্র বনবাসে যাইবার সময় এই ঘাটে পার হইয়াছিলেন। পার হইয়৷ কিছু দূর যাইলে গুহক চণ্ডালের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয় । ইন্দ্র। পরপারে ও বাড়ীঘর কাহার ? বরুণ । হবাচন্দ্র রাজার । লোকে যে কথায় বলে “হবাচন্দ্র রাজার গবাচন্দ্র মন্ত্ৰী”—সেই হবাচন্দ্র রাজা ঐ স্থানে রাজ্য করিতেন । ইন্দ্র । হবাচন্দ্র রাজার রাজ্যশাসন কিরূপ ? বরুণ । লিখে লও, তোমাদের উপকার দেখতে পারে । হবাচন্দ্র দেখিলেন, সকল রাজাই দিবসে রাজকাৰ্য্যের আলোচনা করেন এবং বাজারে চাল, ডাল, মুড়ি, মুড়কী, গজা মতিচুর ভিন্ন ভিন্ন দরে বিক্রয় হয় । তিনি নিয়ম করিলেন, র্তাহার রাজ্যে রাজকাৰ্য্য প্রভৃতির আলোচনা দিবসে না হইয়। রজনীযোগেই নিৰ্ব্বাহ এবং বাজারের প্রত্যেকে দ্রব্য এক দরে ও ওজনে বিক্রয় হইবে । প্রত্যেক প্রজাকে রজনীতে স্নান আহার পূজা আহ্নিক আদি করিতে হইবে । ঐ সময় আলো জেলে বাজার হাট বসিবে, কৃষকেরা মশাল হাতে ক’রে লাঙ্গল চৰিবে দিবসে প্রত্যেকে দ্বার বন্ধ করিয়া নিদ্রা যাইবে ও চৌকিদার চৌকা হাকিয়া পথে পথে ফিরিবে । ইন্দ্র হাস্ত করিয়া কহিলেন, “হবাচন্দ্র রাজার রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা মন্দ নয় ।” এখান হইতে দেবগণ রাজা বামুকি দেখিতে যান । ইনি একটা বাধা ঘাটের উপর মন্দিরমধ্যে আছেন। মন্দিরটা বৃহদাকার সৰ্পের দ্বারা বেষ্টন করা। রাজা বাসুকির ঘাট বড় উৎকৃষ্ট ; নগরের মধ্যে এই ঘাটটী প্রধান বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এখান হইতে সকলে শিবকোট দেখেন । কথিত আছে, রামচন্দ্র বন-গমন সময়ে এই শিব প্রতিষ্ঠা করিয়া পূজা করিয়াছিলেন । ইহাকে পূজা করিলে কোট শিবপুজার ফল প্রাপ্ত হওয়া যায় বলিয়া শিবকোটী নাম হইয়াছে। অবশেষে দেবগণ যমুনার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।