এলাহাবাদ S8:3) বরুণ । আজ্ঞে, অনেকে বলে বৈশুজাতির গলায় পৈতা ব্যবহার করা উচিত নহে । ব্ৰহ্মা ! ধারা বলে, তার ভ্রান্ত । ইন্দ্র। বৈদ্যেরা গলায় পৈতা ব্যবহার করতে পারে ? ব্ৰহ্মা পারে না ? ব্রাহ্মণ কর্তৃক শাস্ত্রবিধানে বিবাহিত বৈশুাপত্নীতে .ম পুত্র জন্মে, তাহারা অম্বষ্ঠ, বৈদ্য জাতি সেই অম্বষ্ঠ, অতএব গলায় পৈত পাবহার করিতে পারে না ? বরুণ । অনেক ব্রাহ্মণ বলেন, বৈদ্যজাতি গলায় পৈতা রাখিলে ভ্রমবশতঃ র্তাহার। যদি প্রণাম করেন, এজন্য উহাদের কোমরে পৈত বাখা উচিত । ব্ৰহ্মা । যে ব্রাহ্মণ এ কথা বলে, শাস্ত্রে তাহার কিছুমাত্র জ্ঞান নাই । কি আশ্চৰ্য্য ! যখন ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈগু—তিন বর্ণের পৈতাধারণের অধিকার আছে, তখন পৈতা গলায় দেওয়া দেখেই প্রণাম না করে, অগ্রে পরিচয় লইলেই ত সকল গোল মিটে যায়। শাস্ত্রে কি পৈতা গলায় দেখিলেই প্রণাম করিতে হইবে, এমন কোন কথা আছে ? যুবা । ঠাকুর । আমি প্রায়শ্চিত্ত করে, প্রয়াগে মাথা মুড়িয়ে আবার ঘদি পৈতা গ্রহণ করি, তা-কি হ’তে পারে না ? ব্ৰহ্মা । আচ্ছ তাই ক’রে । তুমি এখানে কর কি ? যুবা । আজ্ঞে, আমি রেলওয়ে অফিসের কেরাণী । ব্ৰহ্ম। "না, তোমার প্রায়শ্চিত্ত নাই । কেরাণীগিরি করতে মৰ্বতে এসেছ প্রয়াগে ? দেশে গিয়ে কেন পাচন বেচে খাওগে না ? ব্রাহ্মণ ও অপর বর্ণের চিকিৎসার জন্ত তোমাদিগের স্বষ্টি । এক্ষণে কি না নিজ ব্যবসা ছেড়ে দাসত্ব ক’রে নরকে যেতে বসেছ ? রোগীর মুখে মৃত্যুর পূৰ্ব্বে যদি একটা লাল বড়ি পড়ে, তা হ’লেও উদ্ধার হয়, এ জেনেও "নজ ব্যবসা ছেড়ে কি পাপে ভুবছ—ভাব দেখি ? বিলাতের জল খাইয়ে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।