পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ 28& হাতে বহরে খুব লম্বা একটা ফৰ্দ আনিয়া দিল,—সেটা পদোর হাতের লেখা । দেবতার ফর্দ দেখে অবাকৃ! পদোর মা ক’রলে কি ! আগে দর দস্তুর ক’রে দ্রব্যাদি না লইয়া তাহারা নিজেই বোকা হইয়াছেন । অতএব কথা কহিতে সাহস হইল না । কেবল বরুণ কহিলেন, “পদোর মা, আর হার্তা টাতী আসে ?” পদোর মা ! ( সক্রোধে ) এখানেও লাগলে ? যার জন্তে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এলাম, আবার এখানেও তাই ? তোমার কি ক’রেছি বল তো ? “না পদোর মা, এই নেও তোমার টাকা নেও” বলিয়া বরুণ টাকাকড়ি চুকাইয়া দিয়া দেবগণ সহ ষ্টেশন অভিমুখে চলিলেন । যাইতে যাইতে নারায়ণ কছিলেন, “বরুণ! পদোর মাকে হাতী আসে কি না জিজ্ঞাসা করায় ও অমন রেগে উঠলে কেন ?” বরুণ । বাল্যকালে পদোর গান-বাজনায় বড় সখ ছিল । উহাদের বাসস্থান সোণাখালি । গ্রামের ভদ্রলোকের এক সময়ে একটা কবির দল করেন । র্তাহাদের দলট উত্তম হইয়াছিল। ঐ দল দেখে পদোও রাজ্যের চোয়াড় একত্ৰ ক’রে একটী কবির দল করে। বাবুদের সখ ফুরাইলে, দলট ভাঙ্গিয়া যায় ; কিন্তু পদোর দল জীবিত থাকে। এই সময়ে গোবরডাঙ্গার বাবুরা সোণাখালির কবির দল উত্তম হইয়াছে শুনিয়া তাহাদের কোন বন্ধুকে অবশু অবশু ঐ দল পাঠাইতে লিখেন । বন্ধু পত্রপাঠে বিবেচনা করিলেন—বাবুদের দল তো ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তবে বোধ হয় পদোর দল পাঠাইতে লিখিয়া থাকিবেন। অতএব তিনি পদোকে সম্মত করিয়া গোবরডাঙ্গায় পত্র লেখেন । বাবুর তদনুসারে কয়েকটা হাতী পাঠাইয়া ঘরদ্বার ঝাড়লণ্ঠন দ্বারা ভালরূপে সাজাইতে আরম্ভ করেন । এদিকে পদ্মনাথ সবান্ধবে হস্তী আরোহণে গোবরডাঙ্গ অভিমুখে চলিলেন । দলট দেখিয়া বাবুদের মনে ঘৃণা হয়, কিন্তু গুণ থাকিলেও থাকিতে পারে ভাবিয়া বাস দেন এবং পোলাও কালিয়াগুলো প্রস্তুত হইয়াছে, অনর্থক У о