মিরজাপুর >8ፃ টিকিট দিবার বিলম্ব মুছে । ব্রহ্মা কহিলেন, “বরুণ, এলাহাবাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ বল |” বরুণ। এলাহাবাদ অতি প্রাচীনকালের বৃহৎ নগর। এখানে বাদসাহী মণ্ডাই, রাণীমণ্ডাই, সাগঞ্জ, কর্ণেলগঞ্জ, কীটগঞ্জ, মুটগঞ্জ প্রভৃতি অনেকগুলি পল্লী আছে। এখানে অনেক বাঙ্গালী বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে আসিয়া বাস করিয়া থাকেন। রাস্তাঘাট বেশ পরিষ্কার ও প্রশস্ত। এখানকার জলবায়ু স্বাস্থ্যকর। মাঘ মেলার সময় এখানে দূরদেশ হইতে অনেক সাধু মোহান্ত ও স্বাত্রী উপস্থিত হইয় থাকে। ঐ সময় অনেক রাজ রাজড়া ও ধনী আসিয়া যোগদান করেন । মেলার সময় দ্রব্যাদি অত্যন্ত মহার্ঘ হয় । এই সময় টিকিট দিবার ঘণ্টা দিল। দেবগণ মিরজাপুরের টিকিট লষ্টয়া ট্রেণে উঠিলেন । মিরজাপুর ষ্টেশনে নামিয়া দেবতারা একটি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত কেল্লার নিকট দিয়া চকের মধ্যে খাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং অসংখ্য দোকান দেখিয়া সকলে স্নানার্থ জাহ্নবী অভিমুখে চলিলেন । ভাগীরথীতীরে উপস্থিত হইয়া দেখেন অনেক গুলি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বাধাঘাট রঙ্গিয়াছে। জলে অসংখ্য তরী ভাসিতেছে। তরীগুলির মধ্যে কোনখানির উপর মুসলমান মাজীরা বসিয়া সানথিতে ভাত খাইতেছে। কোনখানিতে “কড় কড়” শব্দে পাল তুলিতেছে। কোনখানির অৰ্দ্ধ-উন্মুক্ত পা’ল বায়ুভরেলটাপৰ্টু শব্দ করিতেছে। রায়ণ একদৃষ্টে নৌকা দেখেন আর বরুণকে জিজ্ঞাসা করেন “এখনি এ আকারের কেন ? ওখানি ও আকারের কেন ?” বরুণ, “ইহার নাম পলেয়ার, উহার নাম ফুক্নী” ইত্যাদি উল্লেখ করিয়া বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন। ব্ৰহ্মা। নৌকা দেখে আর কি হবে ? এস একে একে স্নান সারিয়া লই ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।