পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X8b- দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইন্দ্র । এখানে এত বাহাদুরি কাষ্ঠ কেন ? বরুণ । এ স্থানটী ঐ কাষ্ঠ বিক্রয়ের একটা প্রধান বন্দর । এখানে কাঠ খরিদ করিলে অন্তান্ত স্থান অপেক্ষা সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। ইন্দ্র । আমার বৈঠকখানার ছাদ বদলাইতে হইবে—এজন্ত দু’একটা কাষ্ঠের প্রয়োজন ছিল । এখান হইতে লইয়া যাইবার কি সুবিধা হইবে না ? সকলে স্নান করিতে জলে নামিবেন, এমন সময়ে বরুণ কহিলেন মিরজাপুরে অত্যন্ত চোরের উপদ্রব, অতএব সকলে এক সঙ্গে স্নান না করিয়া এক একজন পাহারা থাকা আবশ্রীক ” “ঘাটে অপর লোক নাই, একটা ক’রে ডুব দিতেই কে আর তার ভিতরে চুরি করিবে ?” বলিয়া পিতামহ যেমন জলে নামিবেন, অমনি দেখেন, নিকটে এক সন্ন্যাসী নয়ন মুদ্রিত করিয়া বসিয়া আছেন । তদর্শনে তিনি দেবগণকে সন্ন্যাসীর নিকট দ্রব্যাদি রাখিতে আদেশ করিয়া কহিলেন “ঠাকুর । এগুলোর প্রতি একটু একটু নজর রাখিবেন ।” সন্ন্যাসী ঈষৎ হাস্ত করিয়া ঘাড় নাড়িয়া সম্মতির লক্ষণ প্রকাশ করিলে, দেবতার নিশ্চিন্তমনে জলে নামিয়া গামছায় গা মলিতে লাগিলেন । এই সুযোগে ভণ্ড সন্ন্যাসী একটা বৃহৎ পোটল অপহরণ করিয়া পলায়ন করিল। দেবতারা স্নান করিয়া উঠিয়া দেখেন সন্ন্যাসী নাই । তখন অনুসন্ধানে প্রকাশ হইল—নারায়ণের আগ্র প্রভৃতি স্থানের খরিদ গালিচ দুলিচার পোটলাট চুরি গিয়াছে। নারা। বেটা ম’লো ম’লো—আমারই মাথায় হাত বুলালে ? ব্ৰহ্মা। বরুণ একি ! য়্যা ! সন্ন্যাসী-বেশে চোর! সাধুবেশে অসাধু! মানুষকে ত চেনা ভার! বরুণ। ভাগগি ক্যাস বাক্সটা হাত করেনি! তা’ হ’লেই কলকেতা যাওয়া ঘুরিয়ে দিত। এখান হইতে দেবতার ভোগমায়া দেখিতে গমন করেন। উপস্থিত হইয়া