>(tం দেবগণের মর্ত্যে আগমন জন্মিবামাত্র বসুদেবের প্রতি দৈববাণী হয়, তুমি এই রজনীতে নিজপুত্রকে যশোদার স্থতিকাগৃহে রাখিয়া তাহার কন্যাকে অপহরণ করিয়া আন । বসুদেব দৈববাণী অনুসারে দেবীকে বদল করিয়া আনিয়া নিজ কারাগৃহে রাখিবামাত্র তিনি চীৎকার শব্দে কঁদিয়া উঠেন। প্রহরিগণ সেই ক্রনদন শ্রবণে কংসকে সংবাদ দেয় যে, দেবকীর সন্তান হইয়াছে ; কিন্তু কংস আসিয়া দেখেন, সস্তান নয়—একটি কন্যা । তখন তিনি মনে মনে কহিলেন *দেবর্ষি নারদ বলিয়াছিলেন, দেবকীর অষ্টম গর্ভের পুত্র আমাকে বিনষ্ট করিবে ;” কিন্তু অষ্টম গর্ভে পুত্র না হইয়া কন্যা হইল। ইহাকে আর অনর্থক হত্যা করিয়া কি হইবে ?” আবার ভাবিলেন, “শক্র কিছুই ভাল নহে, নিকাশ করাই কৰ্ত্তব্য হইতেছে।” এই ভাবিয়া তিনি স্থতিকাঘরে প্রবেশপূৰ্ব্বক সেই সদ্যঃপ্রস্থত কস্তাকে গ্রহণ করিয়া হত্যাভিলাষে প্রস্তরের উপর সজোরে নিক্ষেপ করিবামাত্র দেবী হাসিতে হাসিতে শূন্তে অস্তৰ্হিত হইলেন। যাইবার সময় তিনি মিরজাপুরে এই মূৰ্ত্তিতে বিশ্রাম করিয়াছিলেন । দেবগণ তখন ভক্তিসহকারে প্রণামপূর্বক গৃহের চতুদিকে চাহিতে লাগিলেন। ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ ! যোগমায়ার দক্ষিণে ও সুড়ঙ্গটি কি ?” বরুণ। পাণ্ডারা বলে—তিনি ঐ সুড়ঙ্গ দিয়াই আবিভূত হন। ইন্দ্র। দেবীর গাত্রে যে একখানি বস্ত্র দেখিতেছি, উহা কি শীতপ্রযুক্ত দেওয়া হইয়াছে ? বরুণ। কি শীত, কি গ্রীষ্ম সকল সময়েই উহার গাত্র বস্ত্রদ্বারা আচ্ছাদিত থাকে। যাত্ৰিগণ আসিয়া একখানি নুতন বস্ত্র দিলে পাওীগণ সেইখানি গাত্রে দিয়া ঐ খানি লাভ করে।
- এখানকার পাণ্ডীগণ বড় ভদ্র । ইহাদের তেমন দৌরাত্ম্য দেখিতেছি না” বলিয়া ব্ৰহ্মা দেবগণসহ সংহারমায়া দেখিতে চলিলেন । এই মহাকালীমূৰ্ত্তি এস্থান হইতে অনুনি অৰ্দ্ধ ক্রোশ দূরে উচ্চতর পর্বতে আছেন। প্রায়