পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিরজাপুর ጏ®®: আবার দুই একটি দেবতার দোষে অনেক শিক্ষিত সম্প্রদায়ের ,মনে সমগ্র দেবতার উপর অশ্রদ্ধা হওয়ায় তাহারা সহজাত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম নামে একপ্রকার ধৰ্ম্মের স্বষ্টি করিতেছেন। নারায়ণ । সহজাত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ? বরুণ ৷ ই্যা ভাই ! যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গুক, সনাতন, নারদ, বেদব্যাস প্রভৃতি আজন্ম রৌদ্রতাপে দগ্ধ হয়ে, অনাহার-ব্ৰত সার ক’রেও লাভ করিতে পারেন নাই, এক্ষণে সেই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম মনুষ্যেরা পেটের মধ্যে লাভ করে স্থতিকাগৃহে ভূমিষ্ঠ হইতেছেন। ব্ৰহ্মা। যাকৃ—ওসব কথা যেতে দাও ! বক্সারে আর কি আছে বল । বরুণ। বক্সারের অনতিদূরে তাড়ক রাক্ষসীর বন ছিল । হীরামচন্দ্র তাড়কাবধ করি। যেখানে তাহার মৃতদেহ নিক্ষেপ করেন, সেই তাড়কা—নালা অদ্যাপি বর্তমান আছে। রামচন্দ্র তাড়কাবধের পর ভাগীরথীতে স্নান করিয়া বক্সারে যে শিবপূজা করেন, সেই রামেশ্বর শিব অদ্যাপি এখানে আছেন। কথিত আছে, ঐ শিবের মস্তকে জল দিলে স্ত্রীলোকে সীতা সতীর দ্যায় পতি প্রাপ্ত হয় । এখানে গবর্ণমেণ্টের একটা বিখ্যাত অশ্বশাল আছে। এপ্রকার অশ্বশাল ভারতে কুত্রাপি দেখা যায় না। এই অশ্বালয়ে অশ্ব সকল সুশিক্ষিত করিয়া দিকে দিকে প্রেরিত হয় । জলসেচন জন্ত অনেক অর্থব্যয়ে গঙ্গা হইতে একটী প্রকাও জলপ্রণালী নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। প্রতি বৎসরে বক্সারে ফুটা করিয়া মেলা হয়। একটা ছাতুমেলা, অপরটা খিচুড়িমেলা। প্রথমটি চৈত্রসংক্রাস্তিতে, দ্বিতীয়ট মাৰী সংক্রাত্তিতে হইয়া থাকে । মেলার সময় অনেক যাত্ৰী আসিয়া ছাতু এবং খিচুড়ি খায়। এখানেও অনেকগুলি বাঙ্গালী আছেন। পুনরায় ট্রেণ ছাড়িল। ট্রেণ কয়েকটা ষ্ট্রেশন দ্রুতবেগে যাইয়া আর চলিতে পারিল না । ( Disable ) ডিসেবল হইল। তখন ব্ৰহ্মা কহিলেন,