Ꮌ©Ꮼ দেবগণের মর্ত্যে আগমন “বরুণ ! আর গাড়ী চলে না কেন ?” “দেখি বলিয়া বরুণ দ্বারের নিকট যাইয়া কহিলেন, “ঠাকুরদা ! কল খারাপ হওয়ায় ট্রেণ থামিয়া গিয়াছে।” তখন দেবগণ সবিস্ময়ে কহিলেন, “কি হবে । হ্যা বরুণ ! ন জানি আমাদের এস্থানে কতদিন পচাবে ।” বরুণ । বেশীক্ষণ থাকৃতে হবে না। খপর পেলেই দোসর কল ছুটে এসে আমাদের নিয়ে যাবে। আপনারা ততক্ষণ শোণ-ব্রিজ দেখুন। এমন চমৎকার ও বৃহদাকার সেতু ভারতে আর নাই। দেবগণ এই কথা শ্রবণে আগ্রহসহকারে দ্বারের নিকট উপস্থিত হইয়া পোল দেখিতে লাগিলেন। র্তাহারা ও অপর যাত্রিগণ সেতু দেখিবেন বলিয়া যেমন গাড়ী হইতে অবতীর্ণ হইলেন, আমি শোণ রক্তাক্তকলেবরে সজলনয়নে কল কল রবে কাদিতে কঁাদিতে আসিয়া দেবগণের চরণতলে ধড়াস ধড়াস শব্দে মাথা কুটিতে লাগিল । নারা । নদ, তুমি কে ? তোমার সর্বশরীরে রক্ত কেন ? * শোণ । প্রভো ! আমি দুঃখিত হ’লাম,—আপনি সৰ্ব্বজ্ঞ হইয়া আজ আমার ভাগ্যে অজ্ঞ হইলেন ? আমাকে কি আপনি জানেন না, না— চিনেন না ? এই পাপিষ্ঠের নাম শোণ । লোকে বলে—জগতে সুথঃছুঃখ চিরদিন সমান থাকে না, সুখ-অন্তে দুঃখ এবং দুঃখ অস্তে সুখের উদয় হয়। কিন্তু আমি দেখছি, দুর্ভাগ শোণের ভাগ্যে বিধাতা চিরদুঃখই লিথিয়াছেন । না হবে কেন ? এ হতভাগ্যের জন্ম চিরন্থঃখী বিন্ধ্য পৰ্ব্বতের নয়নজলে । বাবা নিজ গুরু অগস্ত্যের আগমনে যেমন ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করেন, আমি অগস্ত্য কহেন—“বিন্ধ্য ! আমার প্রত্যাগমন না হওয়া পৰ্য্যন্ত ঐ ভাবেই থাক, আর মাথা তুলে না।” এই ব’লে সেই যে গেলেন আর এলেন না । বাবা আমার ঘাড় হেঁট ক’রে থেকে শেষে কঁদিতে লাগলেন,
- শোশের জল রক্তবর্ণ: