মিরজাপুর 36.సి ক্রমে ট্রেণ দানাপুর অতিক্রম করিয়া বাকীপুরে আসিয়া উপস্থিত হইল । দেবগণ নামিয়া ষ্টেশনের বাহিরে চলিলেন। গেটের বাহিরে গিয়া: দেখেন—অসংখ্য এক্কা এবং বহুসংখ্যক গয়ালী ও চৌবে - পাণ্ডার যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করিতেছে । গয়ালীদিগের যেমন চেহারা, তেমনি সাজ পোষাক। শীত প্রযুক্ত প্রত্যেকেরই গাত্রে কম্বল জড়ান, তাহ আবার দৃঢ় করিয়া রাখিবার জন্ত এক একখানি মোটা ময়লা বস্ত্রের দ্বারা বন্ধন করা। সকলেরই স্কন্ধে এক এক গাছি মোটা বাশের লাঠি। লাঠির অগ্রভাগে এক এক ঘোড়া দুই হাত আড়াই হাত আন্দাজ মহিষ-চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত নাগরা জুতা ও তৎসহ এক একটা লোট (ঘট ) লম্বমান রহিয়াছে। দেবতার অগ্ৰে যমদূত বিবেচনায় ভয় পান ; কিন্তু বরুণ বুঝাইয়া দেন, ইহাদেরই নাম গয়ালী । গয়ালী। আমরা গয়ালী গুরুর গো—মষ্টার। ইন্দ্র । কি বলে ? বরুণ। ব’লচে “আমরা গয়ালী গুরুর গোমস্ত। এরা সৰ্ব্বদা: বাঙ্গালায় যায়, তাই বাঙ্গাল কথা শিখে এসেছে । ব্ৰহ্মা। এখান হ’তে গয়া কতদূর ? বরুণ ৷ সাড়ে আটাইশ ক্রোশ রাস্ত হবে। } ব্ৰহ্মা ! ছিঃ! ছি:! যমের বড় অন্তায় । যখন প্রথমে রেলের রাস্তা প্রস্তুত হয়, শমন আমার নিকট গিয়া কাদিতে কঁাদিতে কহিল, “পিতামহ । এত দিনের পর আমার সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত। গয়ায় রেল হইতেছে, আমার জেলখানা ( নরক ) আর থাকে না ! লোকে গদাধরের পাদপদ্মে পিও, দিয়া আমার বহুকালের কয়েদীকেও খালাস করিয়া লইধে, নুতন পাপীর
- গয়া করিয়া যাত্রিগণ মথুরা ও বৃন্দাবনে যাইবে, এই আশ্বাসে এখানেও চৌবে পাণ্ডার উপস্থিত থাকে ।
- এক্ষণে গয়ায় যাতায়াতের আরও স্ববিধা হইয়াছে।