পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OVEණ দেবগণের মর্ত্যে আগমন আর আমদানী হইবে না । তাহ হইলেই নরক উঠে গেল। নরক গেলে আমার আর থাকৃল কি ? আমি কয়েদীদিগকে জেলে খাটাইয়া বস্ত্র বয়ন, কাঠ কাঠরার কাজ এবং কপির চাস প্রভৃতি করাইয়া লই । ঐ সমস্ত দ্রব্য বিক্রয়ে আমার বিলক্ষণ দশ টাকা লাভ থাকে। এমন কি, জেলের খরচবাদে সংবৎসর আমার বাবুয়ান, দোল, দুর্গোৎসব, অতিথিসেবা প্রভৃতি সমস্ত কাৰ্য্যই নিৰ্ব্বাহ হয়। ঐ পদ আপনারাই আমাকে দিয়াছিলেন, এক্ষণে যাহাতে থাকে তাহার উপায় করুন ; নচেৎ ফেরার হুই ।” নারা । আপনি কি করলেন ? ব্ৰহ্মা। তুমি ভাই তখন বোমাকে সঙ্গে লইয়া ক্ষীরোদ সমুদ্রে বাচ খেলাতে গিয়াছিলে । আমি যমের কান্না সত্য বিবেচনা করিয়া অনর্থক আর তোমাকে বিরক্ত করিতে গেলেম না। কহিলাম “দেখ শমন ! কলিতে ধাৰ্ম্মিক খুব কম আছে। অধাৰ্ম্মিকের কিছু গয়াতে গিয়া পিও দিবে না। অতএব তুমি ম্যালেরিয়াকে বাঙ্গালায় পাঠাইয়। এই উপদেশ দেও, সে যেন অধাৰ্ম্মিকের বংশ নিৰ্ব্বংশ করে । তাহা হইলে তোমার নরক যেমন গুলজার তেমি রহিল । তাহাতে সে আমাকে জিজ্ঞাসা করে “ম্যালেরিয়াকে কি অছিল। করিয়া তথায় পাঠাইব ?” আমি কহিলাম, *যে রেল হওয়াতে তোমার এত আশঙ্কা, সেই রেল রাস্ত প্রস্তুত করাতে অনেক পয়ঃপ্রণালী বদ্ধ হইয়াছে, এই আছিল৷ অবলম্বন কর।” আরো কহিলাম, “ম্যালেরিয়া-রোগাক্রান্ত ব্যক্তি যে দেশে যাইবে, ম্যালেরিয়া ইচ্ছ। করিলে সঙ্গে সঙ্গে যাইয়া তথাকার লোককেও আক্রমণ করিতে পারিবে ।” বরুণ। গিয়ে দেখবেন বাঙ্গালা ছারখার । পিতামহ । এ স্থানের নাম বাকীপুর। বাকীপুর পাটনার সিভিল ষ্টেশন। আপনি অগ্রে গয়৷ করিবেন, ন—বাকীপুর দেখিবেন ? ব্ৰহ্মা। ভাই ! গয় অপেক্ষ তীর্থ নাই। পৃথিবীতে যত তীর্থ আছে, সৰ্ব্বাপেক্ষা গয়াতীর্থ শ্রেষ্ঠ । কারণ, অন্যান্ত তীর্থে যে যে ব্যক্তি