У о দেবগণের মর্ত্যে আগমন সংসার নির্বাহ করিতে সক্ষম হইবেন না ; অতএব নারায়ণীকে আর কোন কথা না বলিয়া নিজ বস্ত্রাদি ও পাথেয় লইয়া বহিৰ্ব্বাটতে গমন করিলেন । নারায়ণী নারায়ণের এই প্রকার নিষ্ঠুর কার্য্য দেখিয়া অবাক হইলেন এবং কাদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “শেষ পৌঁষে বাড়ী ত’তে যাচ্চো—খুব সাবধানে থেকে, নূতন সহরে চৰ্ব্বি মিশান ঘিয়ে ভাজা ময়রার দোকানের জিনিস গুলো বেশী থেও না, পেটের অমুখ হবে। আসিবার সময় যদি মনে থাকে, বেশী ক’রে পুতি আর পীচ রঙের উল কিনে আনিও ; তোমার জন্য জুতো বুনবো।” নারায়ণ, ইন্দ্র ও বরুণের নিকটে উপস্থিত হইয়া কহিলেন “চল, ভোলা দাদাকেও সঙ্গে লইতে হবে, তা না হ’লে আমোদ হবে না।” এ প্রস্তাবে বরুণ প্রভৃতি সম্মত হইলেন এবং তিন জনে কৈলাসে চলিলেন । কৈলাস অদ্য পৌষ মাসের সংক্রাস্তি, পাৰ্ব্বতী পিঠেপুলি প্রস্তুত করিতেছেন ; আর দেবাদিদেব মহাদেব নিকটে বসিয়া কাৰ্ত্তিককে গালি দিতেছেন । পাৰ্ব্বতী কহিলেন “ওকে ব’কে ক’কে। না ; আইবুড় ছেলে ঘরে আছে এই যথেষ্ট ; আবার রাগ ক’রে ঘদি এক দিকে চলে যায়, তোমাকেই ভুগতে হবে।” এই সময় নন্দ আসিয়া কহিল “ছোট কর্তা এবং আর ছুটী ঠাকুর আপনার নিকট আসিয়াছেন ।” এই কথা শুনিয়া সদাশিব অত্যন্ত ভীত হইলেন এবং ভগবতীকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “প্রিয়ে । বোধ হয়, স্বর্গে পুনরায় দৈত্যের উপদ্রব আরম্ভ করিয়াছে ; নচেৎ অসময়ে ইহাদের আসিবার কারণ কি ?
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।