দেবগণের মর্ত্যে আগমন .. 8 طالا . কহেন। কিন্তু তাহাদের মনে বিশ্বাস না হওয়ায় ফল্কনদীকে সাক্ষী মানা তইয়াছিল। ফন্তু মিথ্য সাক্ষ্য দেওয়াতে অদ্যাপি অন্তঃসলিলা রহিয়াছেন । * দেবগণ ফন্তুনদীতে স্নান করিয়া শ্রাদ্ধ-তৰ্পণ করিতে লাগিলেন । নারায়ণ বালি খনন করিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্ৰোচ্চারণপূর্বক ডুব দিলেন – ফন্তুতীর্থে বিষ্ণুজলে করোমি স্নানমাদৃতঃ। পিতৃণাং বিষ্ণুলোকায় ভুক্তিমুক্তি প্রসিদ্ধয়ে ইহার পর সকলে তীরে উঠিয়া ভিজে কাপড়ে বসিয়া পিতৃগণের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ-তৰ্পণ করিলেন এবং গয়ালী গুরুকে একটা করিয়া নারিকেল ও একটা করিয়া টাকা দিয়া প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বাধাঘাট দিয়া উঠিয়া গদাধরের বাটীতে উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইয়া দেখেন—মাতা গয়ায় আসিয়া পুত্রকে পিণ্ড দিতে হইবে ভাবিয়া বাধান পাথরের মেজেয় শয়ন করিয়া চীৎকার করিতেছেন। স্ত্রী স্বামীকে পিণ্ড দিতে হইবে ভাবিয়া মূচ্ছিত হইয়া পড়িয়াছেন। গদাধরের বাড়ীতে যেন শোকের ফোয়ারা খুলিয়া দিয়াছে । দেবগণ দুঃখিত হইয়া বিষ্ণুমন্দিরে প্রবেশ করিলেন এবং সকলে গদাধরের পদচিহ্ন বেষ্টন করিয়া বসিয়া পুরোহিতের আদেশমত পিণ্ড দিতে লাগিলেন । শেষে পুরোহিত কহিলেন, আপনার মনে মনে যাহাকে ইচ্ছা পিও দিতে পারেন। তচ্ছ বণে নারায়ণ নিম্নলিখিতরূপে পিণ্ড দিতে লাগিলেন। }
- কথিত আছে—সীতাদেব বটবৃক্ষ, ফল্গুনদী, ব্রাহ্মণ এবং তুলসী বৃক্ষকে সাক্ষা মানিয়াছিলেন । ইহাদের মধ্যে বট গাছ ভিন্ন সকলেই মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়াতে ব্রাহ্মণ কলির ব্রাহ্মণ হন, তুলসীগাছে কুকুরপৃগালে প্রস্রাব পরিত্যাগ করে, ফন্তুনদী অন্তঃসলিল বহিতেছে এবং বটবৃক্ষ চারিযুগ যত্বের সহিত পূজা পাইতেছে।
+ গয়ায় পিণ্ডদানকালে যে “পিতৃষোড়শী” ও “মাতৃষোড়শী’র মন্ত্র পাঠ করিতে হয়, তাহাতে নিম্নলিখিত ভাবের কথা আছে।—সম্পাদক । . .