>WがWり দেবগণের মর্ত্যে আগমন প্রসবের পর তিন দিন উপবাস করে তীব্র অগ্নি দ্বারা নিজ শরীর শোষণ ও কটু দ্রব্য পান ভোজন করেছ। মা ! তোমরা কোন দুর্লভ দ্রবা হস্তে পেয়ে বদনে দেবার উদ্যোগ ক’রেছ, এমন সময়ে ছুটে গিয়ে কেড়ে খেইছি, তাতেও সন্তোষ দেখিয়েছ। বাল্যাবস্থায় কোলে শয়ন ক’রে কত মলমুত্র পরিত্যাগ করেছি, মূত্রসিক্ত ও বিষ্ঠালাগা বস্ত্রে কোন কষ্ট বোধ না ক’রে, রজনীতে নিদ্রা গিয়েছ । আমার গ৷ তপ্ত হ’লে নিজে উপবাস-ক্লেশ সহ ক’রে মনের উৎকণ্ঠায় কালাতিপাত করেছ। আমার ক্ষুধা হ’লে ভোজনপাত্র ফেলে ছুটে এসে স্তন দিয়েছ। এ হতভাগার জন্য নিজ ভ্রাত কংস কর্তৃক কারারুদ্ধ হয়ে বক্ষে বৃহৎ শিলা বহন করেছ। এ হতভাগ্য লক্ষ্মণ ও সীতা সঙ্গ বনগমন করিলে অনশনত্ৰত সার ক’রে দিনরাত্রি কেঁদে কেঁদে চক্ষু হারিয়েছ । মা ! আমি গোকুলে মূৰ্ছা গেলে, আত্মবিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়েছিলে । তোমাদের গুণ অসীম, তোমাদের মেহের অন্ত নাই । তোমাদের ঋণ পুত্র হয়ে পরিশোধ করিবার উপায় নাই। আজ আমি গয়াধামে এসে তোমাদের উদেশে পিও দিতেছি। দুর্ভাগার দত্ত পিণ্ড গ্রহণ কর।” তৎপরে তিনি প্রণয়িনীগণের পিণ্ডার্পণ ক’রে হস্ত প্রক্ষালন করিবার উদ্যোগ করিতেছেন দেখিয়া বরুণ কহিলেন, “ভাই ! আর কিছু পিও তোমাকে বাজে খরচ করতে হবে ।” নারা । কাহাদের জন্য বল ? বরুণ। ব্ৰহ্মজ্ঞানী, খ্ৰীষ্টান, এবং বিলাত-ফেরৎ দলের জন্য । ইহার সকলেই হি ছুর ছেলে । আমাদের মামুক বা না মানুক—তুমি হিন্দুর দেবতা, এজন্ত তোমার দয়া করা কৰ্ত্তব্য । আহা ! ব্রহ্মজ্ঞানীর দল যখন সপ্তাহান্তে একদিন মন্দিরে ব’সে চক্ষু মুদে ব্রহ্মের জ্যোতিঃ দেখে প্রেমে গ’লে কেঁদে সারা হন, দেখে আমার বড় ভাব লাগে। খৃষ্ঠানের আলোয় যাবেন ভেবে স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ ক’রে যখন অন্ধকারে হাতড়াতে থাকেন,
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।