পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিরজাপুর جارا لا দেখে আমার আন্তরিক কষ্ট হয় । বিলাত যাবার দল বিলাত যাইবার পথে কিংবা প্রত্যাগমন ক’রে চুনাগলিতে যখন অক্কা পান, তাহাদের দুরবস্থা দেখে আমার চক্ষে জল আসে । নারায়ণ এই কথা শ্রবণে উচ্ছিষ্ট পিণ্ডগুলি সংগ্ৰহ করিয়া নয়টা মালসা পবিপূর্ণ করিলেন এবং প্রথমতঃ তিনটে উপযুপিরি সাজাইয়া ব্রাহ্মগণের উদ্দেশে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “হে ব্রাহ্মগণ! তোমরা সাকার, নিরাকরে - যে আকারের ঈশ্বর ভাব, আমি তোমাদের গতির জন্ত ভূত ভবিষ্যৎ ও বর্তমান তিন কালের তিন মালসা পিণ্ড গচ্ছিত রাখিলাম, সকলে ভ্রাতৃভাবে ভাগযোগ ক’রে খেও ; দেখো যেন পিণ্ড খেতেও দলাদলি, মারামারি, চেঁচাচেচি না হয় । হে হি ছুর ছেলে খৃষ্টানগণ! তোমাদের জন্তও তিন মালসী জমা রাখিলাম ; এর জোরে আলোর মুখ দেখে প্রেতযোনি অর্থাৎ যে ঘোনিতে তোমরা ভ্রমণ ক’বৃচে তাই থেকে মুক্ত হবে । হে বিলাত-ফেরত বাঙ্গালী সাহেবগণ ! তোমরা বেস জেনে, ইংরাজ-স্বর্গে তোমাদের স্থান হইবে না। কালা বাঙ্গালীর যেরূপ আদর, তোমরা ইংরাজ-নরকেও স্থান পাও কি না সন্দেহ । আমি তোমাদের সদগতির জন্ত তিন মালস পিণ্ড রাখিলাম । তোমরা ভাগাড়েই মর, আর দাতব্যচিকিৎসালয়েই মর, এর জোরে হিছর স্বৰ্গই পাধে ।” বলিয়া হস্ত প্রক্ষালনপূর্বক দক্ষিণমুখ হয়ে দাড়াইয়৷ এই মন্ত্র উচ্চারণ করিলেন— এধ পিণ্ডে ময় দত্ত-স্তব হস্তে জনাৰ্দ্দন । গয়াশীর্ষে ত্বয়া দেয়ে মহং পিণ্ডে মৃতে ময়ি ॥ ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ, ! এ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করে দেয় কে ?” বরুণ। ইন্দোরের মহারাণী অহল্যাবাই এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করান । মন্দিরটা কষ্টি পাথরে নিৰ্ম্মিত। অহল্যাবাই বর্তমান টুকুজী হলুকারের পিতামহী । বিষ্ণুমন্দিরের ওদিকে যে মন্দিরে দেখা যাচ্ছে, ঐ মন্দিরে শ্বেতপ্রস্তরে-নিৰ্ম্মিত অহল্যাবাইয়ের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। ঐ সতীকেও লোকে