মিরজাপুর SSలసి ক’চ্ছেন। যে সব ছেলে –মিন্সের উদ্ধার হবার আর উপায় নেই, একটা পিণ্ডি দিয়ে গতি ক’বৃতাম।” আর একজন কহিল “মা গো ! গাট কাটা দিয়ে উঠে, কাল রাত্রে স্বপ্নে দেখি—আমার মেজো ননদ– হাতে শাখা, কপালে এক কপাল সিঁদুর, আমার শিয়রে খোন থোন। কথায় ব’ল্লেন “বে এসেৰ্চো যদি আমার সদগতি করে র্যেও, এক্ট। পিণ্ডি দিতে ভুলোনা। জানত মামি আতুড়ঘরে মরে তোমাদের বাশবাগানে পেত্নী ইয়ে আঁছি।” আর একটী রমণী কাদূতে কঁদিতে ব’ল্লেন, “দেখু মা মোক্ষদা ! কাল স্বপ্নে দেখেচি—কত্তা যেন শিয়রে বসে ব’লচেন, “গিন্নি ! শান্তিপুরে পূজোর বার্ষিক আদায় করতে যাবার সময় কামারডেঙ্গীর খালে ডাকাতেরা আমায় ঠেঙ্গিয়ে মারে, সেই থেকে আর আমি তোমাকে দেখতে পাইনি। মৃত্যুর পর হু’তে আমি সেখানে একটা শিমুল গাছে ভূত হয়ে আছি। যদি কপালক্রমে গয়ায় এসেছ, আমার গতি করে, একটা পিণ্ডি দিতে ভুলো না । ( চক্ষে অঞ্চল দিয়া ) মোক্ষদা মা ! আমি কি ক’ত্তে গয়ায় এলাম ? তিনি যে এত ক’রে ব’ল্লেন, কিছুই ক’ত্তে পেলাম না, বাধা প’ড় ল, এ লজ্জা আর কোথায় রাখবো ? আমার কি বাছা ! তিনি তে পিণ্ডি খেয়ে স্বর্গে গিয়ে সুখী হ’তেন । আমার কপালে যা আছে হবে—আমি মল্লিক-বাড়ীর হাড়ি ঠেলে ঠেলেই দিন কাটাব।” দেবগণ এই কথা শুনিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন এবং এখান হইতে সকলে বাসায় গেলেন। পরে তিন দিন গয়াতে অবস্থিতি করিয়া সকলে অক্ষয়বটের তলা হইতে সুফল আনিতে চলিলেন। দেবগণ যাইয়া দেখেন, লোকে লোকারণ্য । গয়ালী গুরুর কেহ শিবিক মধ্যে, কেহ তাম্বু মধ্যে এবং কেহ কেহ বা বৈঠকখানা গৃহে বিরাজ করিতেছেন। যাত্রী স্ত্রীলোকেরা তাদের সন্নিকটে করযোড়ে দাড়াইয়া বিনীতভাবে পাচ সিকা, নয় শিকা এবং কেহ কেহ বার আনা মূল্যের সুফল চাহিতেছে। “পাচ টাকার কম মূল্যের সুফল নাই” বলিয়া গয়ালী গুরুর প্রত্যেক যাত্রীর
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।