পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>^ с দেবগণের মর্ত্যে আগমন হস্তপুষ্পমালায় বান্ধিয়া ফেলিতে হুকুম দিতেছেন । যাত্রীদিগের মধ্যে কেহ কেহ দর কমাইবার জন্ত নিজের অবস্থা সবিস্তারে ব্যক্ত করিতেছে। তাহাতে কিছু না হইলে কাদিতেছ, অবশেষে কাদিয়া কাদিয়া ক্লান্ত হইয়৷ পায়ে ধরিতেছে। কিন্তু “চোরা না শুনে ধৰ্ম্মের কাহিনী।” বরুণ। দেখুন পিতামহ! মহর্ষি গৌতম এই বটবৃক্ষের তলে বসিয়া ৬০ হাজার বৎসর শিবের আরাধনা ক’রেছিলেন । ইন্দ্র । বরুণ ! ঐ নির্দয় জন্তু, যাহাদের পদ ধরিয়া স্ত্রীলোকেরা রোদন করিতেছে, অথচ দয়া করিতেছে না, উচ্চার কে ? বরুণ। উহারাই গয়ালী । ইন্দ্র । গয়ালীদিগের উৎপত্তির কারণ বল । বরুণ । এক সময়ে পিতামহ ব্ৰহ্মা গয়াধামে আসিয়া নিজ পিতৃগণের উদ্দেশে পিণ্ডার্পণ করেন । পরে তাহার প্রত্যাগমন-সময়ে তৎকৃত পাৰ্ব্বণশ্রাদ্ধের ব্রাহ্মণ সাতটা সজীব হইয়া কহে, “প্রভো ! আপনি ত আমাদিগের স্বষ্টি করিলেন, এক্ষণে আমরা কি কাজ করিব, তদাজ্ঞা প্রচার করুন”। প্রজাপতি তৎশ্রবণে কহিলেন, “তোমরা অদ্য হইতে এই গয়া তীর্থের ব্রাহ্মণ হইলে । তীর্থর্যাত্ৰিগণ ফুল চন্দন দিয়া তোমাদিগের পাদপদ্ম পূজা না করিলে সফলকাম হইবে না এরং তোমাদিগকে সন্তুষ্ট করিতে না পারিলে গয়া তীর্থের কার্য্যও সুসম্পন্ন হুইবে না।” সেই সাতজন ব্রাহ্মণ গয়ালী গুরু নামে প্রসিদ্ধ। বৰ্ত্তমান কুলাঙ্গারের সেই সপ্ত গয়ালী গুরুর বংশধর। এই সময়ে এক অল্পবয়স্ক বিধবা আসিয়া গয়ালী গুরুর পা পুজান্তে চৌদ্দ আনার সুফল চাহিল । কিন্তু গয়ালী গুরু কহিল, “১৪ টাকা ব্যতীত তোমার পিতা মাতাকে স্বর্গে পাঠাইতে পারি না।” বালিকা কত কঁাদিল পায়ে ধরিল ; কিন্তু কিছুতেই তাহারা স্বীকার পাইল না। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! বালিকা অত কঁাদিতেছে কেন ? ও কেন সুফল না লইয়া চলিয়া যাইতেছে না ?