মিরজাপুর እ»ዓልእ বরুণ। আজ্ঞে, উহাদের মনে দৃঢ় বিশ্বাস আছে—গয়ালী গুরুকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে গয়ায় আশা বৃথা হ’ল,পিতা মাতাকে স্বর্গে পাঠান হ’ল না। নারা । আহা! পিতামহ কি অদ্ভূত জানোয়ারই স্বষ্টি করেছেন। আমার আশঙ্কা হ’চ্চে, পাছে আবার এবারকার কুশগুলো চেগে উঠে, ঐ প্রকার না হয় । ইন্দ্র । আচ্ছ, উহাদের এইপ্রকার অত্যাচারের দরুণ রাজা কেন সাজা দেন না ? বরুণ । ইংরাজরাজের প্রতিজ্ঞা আছে, প্রজার ধৰ্ম্ম বিষয়ে হস্তাপণ করিবেন না । ব্ৰহ্মা। ইহঁাদের রাজ্য অক্ষয় হউক ! এরূপ বিষয়ে হস্তার্পণ করায় আমি তত দোষ দেখিতেছি না । এ দিকে বালিকা পা ধরিয়াই কাদিতেছে। কিছুতেই পাষগুদিগের দয়ার সঞ্চার হইতেছে না । অবশেষে অপরাপর ঘাত্ৰিগণ, বিশেষতঃ বালিকার স্বগ্রামবাসী র্যাত্ৰিগণ অনেক অনুনয় বিনয় করিয়া তাহার অবস্থা বিশেষ করিয়া বলায় ৫ টাকা মূল্যের সুফল পাইল । এই সময়ে পূৰ্ব্বপরিচিত মাতালত্রয় গোলাপী বেশু্যার সহিত আসিয়া উপস্থিত হইল। গোলাপী চরণ পূজান্তে করযোড়ে দণ্ডায়মান হইবামাত্র গয়ালীদিগের কর্তৃক তাহার হস্ত পুষ্পমালায় বন্ধনদশা প্রাপ্ত হইল। গয়ালী গুরু গোলাপীর গাত্রের স্বর্ণাভরণ দেখিয়া ৫০০ টাকার সুফল কিনিতে কহিলেন। “অত টাকা কোথায় পাইব” বলিয়া গোলাপী চরণ ধরিয়া রোদন আরম্ভ করিল। গোলাপীকে পায়ে ধরিতে দেখিয়া লম্পটের মহাদুঃখিত। একজন ভেউ ভেউ করিয়া কাদিয়া ফেলিল । অপর একজন • কছিল “বাবা গোলাপ ! পা ছাড়, লক্ষ্মী ধন আমার ! পা ছাড়, তোমার কোন পুরুষে কার পায়ে ধ’রেছ ? লোকেই তোমার পায়ে ধরে।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।