>ԳՀ দেবগণের মর্ত্যে আগমন মাতাল তিন জন পরামর্শ করিল, “এস–গোলাপকে তুলে আমরা গুরুজীর পায়ে ধ’রে সুফল আদায় করি । কারণ, আমাদের পায়ে ধরা অভ্যাস আছে।” তাঙ্গাদের যে কথা, সেই কাজ ; বেস্তাটাকে তফাতে টানিয়া রাখিয়া এসে, গয়ালীগুরুর পদ দুইট দৃঢ়রূপে ধারণ করিয়া “সুফল দে বাবা ! এমন সুফল দে, যেন মদের মুখে ভাল চাট হয়” বলিয়া মাথা কুটিতে লাগিল। মদের গন্ধে গুরুজীর অন্নপ্রাশনের অন্ন উঠিবার উপক্রম হইল । তিনি যে পলাইবেন, সে সামর্থ্যও নাই ; তিন জনে শক্ত করিয়া পা দুখানি ধরিয়া আছে । তিনি মাসিকায় বস্ত্ৰ দিয়া বেশু্যাকে কহিলেন, “মা ! তোমার সস্তানগণকে উঠাইয়া লও, এবং বা খুসি হয় দিয়া সুফল লইয়া প্রস্থান কর।” বেশু। তৎশ্রবণে হাসিতে হাসিতে আসিয়া দুই টাকার সুফল লইল এবং লম্পটত্রয়কে কহিল, “তোরা ওঠ, আমি সুফল পেয়েছি।” তাহারা “কই” বলিয়া দেখিতে চাহিল এবং দেখিতে না পাইয়। আবার মাথা কুটিতে লাগিল। এইবার মাথা কুটিতে কুটিতে একব্যক্তি গুরুজার জীপাদপদ্মে বমি করিয়া ফেলিল। গুরুজী পলাইবার চেষ্টা পাইলেন, তথাপি তাহারা ছাড়িল না। অবশেষে পুলিস ডাকিয়া নিস্কৃতি লাভ করিলেন । দেবগণ চাহিয়া দেখেন—পতামহ নিকটে নাই । তিনি দ্রুতপদে এক দিকে ছুটিয়া পলাইতেছেন । তদুষ্টে র্তাহারাও দ্রুত যাইয় তাহাকে ধরিলেন এবং কহিলেন, “ঠাকুরদা ! কোথায় যাচ্ছেন ?” ব্ৰহ্মা । ভাই, যেখানে বেণ্ডার দান গ্রহণ করিয়া সুফল দেয়, সেখানে এক মুহূৰ্ত্তও থাকৃতে নাই। আমি এই দণ্ডে গয়া পরিত্যাগ করিলাম, তোমাদের ইচ্ছা হয় থাক । - দেবগণ র্তাহার কথায় সম্মত হইয়া তল্পী তল্লা উঠাইয়া লইলেন । এবং কতকগুলা পাথরবাটা খরিদ করিয়া ষ্টেশনে চলিলেন। যাইতে যাইতে ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ! গয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরণ বল।” বরুণ। গয়া একটী বহুকালের তীর্থস্থান। এখানে প্রায় দুই হাজার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।