মিরজাপুর ➢ዓoo বৎসরের মন্দির আছে। গয়ার তুল্য তীর্থ ভারতে আর দ্বিতীয় নাই। এখানে সমস্ত ভারতের যাত্ৰিগণ পিতৃগণের উদ্দেশে পিণ্ডদান করিতে আসিয়া থাকে। নগরের মধ্যে প্রকাও প্রকাও অনেকগুলি আডড আছে। সেইখানে আসিয়া তাহারা বাসা লয়। গয়ালীরাই গয়ার সর্বময় কৰ্ত্ত । ইহারা নিতান্ত নিৰ্ব্বোধ, বিদ্যা-শিক্ষা ইহাদের কুষ্ঠাতে লেখা নাই ; কিন্তু বিনা পরিশ্রমে যাত্রীদিগকে উৎপীড়ন করিয়া যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করিয়া থাকে। প্রত্যেক গয়ালীরই হাতী, পান্ধী, ঘোড়া আছে। গয়াতে এত গাড়ী ঘোড়া দেখা যায় যে, কলিকাতার সহিত তুলনা করিলে গয়াই প্রধান হইবে । নগরবাসীদিগের সভ্যতার কিছুমাত্র উন্নতি নাই। এই নগরে কোন সভা কিংবা বিদ্যালয় দেখিতে পাওয়া যায় না । এখানে অপর কোন দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া পূজা করা হয় না। লোকের মনে বিশ্বাস আছে, যে পুজা করিবে সে নিৰ্ব্বংশ হুইবে । ডোমের আশ্বিন মাসে ২১ খানি কালী পূজা করে। গয়া দুই ভাগে বিভক্ত,—সেটি গয়া ও সাহেবগঞ্জ। সাহেবগঞ্জে সর্বেরাষ্ট বাস করেন । গয়াতে অনেক ইষ্টকনিৰ্ম্মিত অট্টালিকা আছে ; কিন্তু কোনটীরই শ্ৰীছাদ নাই। বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে এখানে প্রায় পাচ হাজার বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন। গয়াতে বৌদ্ধদিগের অনেক কাৰ্ত্তি আছে। উক্ত ধৰ্ম্ম-প্রচারক শাক্যসিংহের প্রতিমূৰ্ত্তি একটা মন্দিরমধ্যে দেখিতে পাওয়া যায়। গয়ার পাথরবাটী ও তামাক বড় বিখ্যাত। একটী পাহাড়ে একটি গহবর আছে ; লোকে বলে—ভীমসেন হাটু গাড়িয়া বসিয়া পিণ্ড দিয়াছিলেন, সেই সময়ে তাহার বাম হাটু বসিয়া গিয়া ঐ গহবর হয় । আর এক স্থানে প্রস্তরের উপর কতকগুলি গরুর ' পায়ের চিহ্ন আছে ; লোকে বলে—ব্রহ্মা এক সময়ে আসিয়া গয়ায় গো দান করেন, সেই সকল গরুর পদচিহ্ন। ইহার পর দেবগণ ট্রেণে উঠিলেন। ট্রেণ যথাসময়ে বাকীপুরে নামাইয়া দিল।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।