পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাটনা - ১৭৫ যাইতে যাইতে বরুণ কহিলেন, “পাটনার অনতিদূরে হাজিপুর নামক একটা স্থান আছে। গরুড় যে গজকচ্ছপকে লইয়া নৈমিষারণ্যে যাইয়৷ ভক্ষণ করে, ঐ হাজিপুরের সন্নিকটে সেই গজকচ্ছপের যুদ্ধ হইয়াছিল । এক্ষণে ঐ স্থানের নাম হরিহর ছত্র । তথায় হরিহর দেবের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে । প্রতি বৎসর হরিহর ছত্রে একটা করিয়া মেলা হইয়া থাকে। মেলায় বস্তর হস্তী, অশ্ব, গাড়ী, ঘোড়া বিক্রয় হয় ।” এই সময় নারায়ণ অদূরে একটা বৃহদাকার পুষ্করিণী দেখিয়া কহিলেন, “বরুণ ! এই বৃহৎ পুষ্করিণী কাহার ?” বরুণ । লোকে উহাকে মাণিকচাদের পুষ্করিণী বলিয়া থাকে। উক্তা যে কতকালের এবং কাহার, আমি স্থির বলিতে পারি না । ক্রমে র্তাহারা সরস্বতী তীরে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। সকলে দেখেন —পুষ্করিণীটার সমস্ত জলই শৈবাল, পান এবং কলুীলতাদি দ্বারা আচ্ছাদিত । চতুষ্প শ্বে বহুকালের বাধা ঘাটের ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান রহিয়াছে । পুষ্করিণীতে যে অতি অল্পমাত্র জল শৈবালাদি হইতে পৃথকৃ হইয়া দেখা দিতেছে, তাহাতে অসংখ্য ভেক শাবকগণসহ সস্তরণ করিতেছে। কোন স্থানে শৈবালাদির উপরে বসিয়া দুই একটা ভেক নিৰ্ভীক চিত্তে সুৰ্য্যের উত্তাপ মুখে ভোগ করিতেছিল,—লতাপাতার মধ্য দিয়া সুদীর্ঘ সৰ্প ধীরে ধীরে আসিয়া তাঙ্গাদিগের পদ ধরিয়া টানিয়া গ্রাস করিবার উদযোগ করিতেছে । ভেক অন্তিমকালে “র্ক্যা” “কো” শব্দে ডাক ছাড়িয়া আত্মরক্ষার সাধ্যমত চেষ্টা পাইয়াও নিস্ফল হইতেছে । নারা । পিতামহের কি অনাস্বষ্টি ! ভেক এবং সৰ্পে যখন খাদ্যথাদক সম্বন্ধ, তখন তাহাদের এরূপ এক স্থানে বাসের ব্যবস্থা করা কি উচিত হইয়াছে ? ব্ৰহ্ম । ভাই ! আমার স্বফ্ট বস্তুর মধ্যে কোনটির সহিত কোনটির খাদ্যখাদক সম্বন্ধ নয়। আমি ভেকদিগকে জল ও স্থল উভয় স্থানে