Ᏹb•Ꮼ , দেবগণের মর্ত্যে আগমন অসভ্য বেহারবাসী গাত্রের বোটুকা গন্ধ বাহির করিয়া কোলাহল করিতে করিতে ঐ দ্বারের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহাদিগের এক এক জনের স্কন্ধে এক একটা তিন চারি মণ আন্দাজ পোটল । ট্রেণে উঠিবার সময় বেহারবাসীদিগের সহিত মেষের পালের অনেকটা সোসাদৃগু দেখিতে পাওয়া যায়। মেষের পাল যেমন নদী পার হইবার সময় তীরে আসিয়া চীৎকার করিতে থাকে, প্রাণাস্তুেও জলে নামে না, পরিশেষে একটার কাণ ধরিয়া জলে নামাইয়া দিলে দলকে দল আপন হইতে নামিয়া পড়ে । ইহদের অনেকটা তদ্রুপ অবস্থা ঘটে । গাড়ীতে স্থান থাকৃ বা না থাকৃ, দলের মধ্যে একজন যে গাড়ীতে উঠিবে, পালে পালে সেই গাড়ীতে উঠিয়া স্থানা ভাবে দাড়াইয়া থাকিবে, তথাপি অন্ত গাড়ীতে যাইবে না । কোন ব্যক্তি কোন স্থানে যাইবার সময় বোধ হয় যেন পাঁচখানি গ্রামের লোককে নিমন্ত্ৰণ করিয়া জুটাইয়া আনিয়াছে। দুর্ভাগ্যক্রমে সমস্ত ঝাকটা আমাদের দেবগণের কামরার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল এবং যে বাবু দ্বারের নিকট দাড়াইয়া লোক উঠিবার বাধা দিতে ছিলেন, তাহার খালি স্থানটি দেখিয়া এক ব্যক্তি দাড়াইয়া রহিল ; সুতরাং সমস্ত দলটা দাড়াইয়া কোলাহল করিতে লাগিল । গোলযোগ দেখিয়া গার্ড সাহেব নিকটে আসিয়া কহিলেন “এখানে কি ?” তাহার কহিল “ভিতরে স্থান আছে উঠতে দিতেছে না।” তৎশ্রবণে সাহেব সজোরে গাড়ীর দ্বার উদঘাটন করিয়া তাহাদিগকে উঠতে কহিলেন। অৰ্দ্ধেক আন্দাজ উঠিয়া গায় গায় হইয়া যখন স্থানাভাবে ত্রাহি ত্ৰাহি শব্দ করিতে লাগিল, তখন সাহেব অবশিষ্টগুলাকে রুলপেটা করিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করাইয়া চাবি বন্ধ করিয়া দিয়া চলিয়া গেলেন। যাইবার সময় বাঙ্গালী বাবু কাতর স্বরে কহিলেন “সাহেব ! ক’ল্পে কি ?” সাহেব তছত্তরে কহিলেন, “হউ ব্লডি নিগার, গোল মৎ করিও ।” বরুণ চাহিয়া দেখিলেন, বৃদ্ধ পিতামহ লোকের ভিড়ে কোণ-ঠাশা হইয়৷
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।