পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brb~ দেবগণের মর্ত্যে আগমন লিখিয়া থাকেন। মুতরাং নিজভাগ্যে ও ভারতভাগ্যে যাহা লিথিয়াছেন, অন্ত তাহারই অভিনয় হইতেছে ; আমাদের লেখা উপলক্ষ মাত্র । দেবগণকে স্পেসাল ট্রেণে আনিয়া প্রিন্সেপ ঘাটে তুলিয়া তোপধ্বনি করিলে এবং কলিকাতা মহানগরী এই উপলক্ষে আলোকমালায় বিভুষিত করিলে তবে দেবগণের সম্মান করা হইত। কিন্তু আমাদের স্পেসাল কৈ ? তোপ কৈ ? দেবতাদিগের কুদৃষ্টিতে আমাদের পাথুরে বন্দুক পৰ্য্যন্ত ব্যবহার করিবার যে নাই ; গৃহে ব্যাঘ্র প্রবেশ করিয়া ধ’রে ধীরে খাইলেও আত্মরক্ষার জগু আমরা অস্ত্রব্যবহারে অধিকারী নহি । এ-হেন দেবতাদিগকে আমরা প্যাসেঞ্জার ট্রেণে থাড় ক্লাসে আনিব না তো কি করিব ? ব্ৰহ্মা । বরুণ ! আমি পূৰ্ব্বে এই ট্রেণের যথেষ্ট প্রশংসা করিয়াছি ; কিন্তু এ কি ! যদি আরোহীদিগকে এমন কষ্টভোগ করিতে হয়, তবে প্রত্যেক কামরায় হিন্দি, বাঙ্গাল, ইংরাজীতে লেখা ও কাগজগুলো লটুকাইয়া দিবার আবশুকতা কি ? বরুণ। আপনার কথা সত্য, কিন্তু আমি এবিষয়ের জন্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষদিগের কোন দোষ দেখিতেছি না। এ সমস্ত অবিচার ষ্টেশনের কৰ্ত্তাদিগেরই দ্বারা ঘটিয়া থাকে । অতি প্রত্যুষে ট্রেণ জামালপুর ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবগণ দেখেন—শ্রেণীবদ্ধ হইয়া আলো জলিতেছে এবং “ঢং ঢং” শব্দে ঘণ্ট। বাজিতেছে। তদ্‌ষ্টে তাহারা তাহাদের শুভাগমন জন্ত মঙ্গল-আরতি হইতেছে ভাবিয়া আহলাদ করিতে লাগিলেন । - দেবতারা টিকিট দিয়া গেটের বাহির হইতেছেন, এমন সময়ে একটা গৌরবর্ণের ছিপছিপে বালক দ্রুতপদে গিয়া ব্ৰহ্মার হস্ত ধারণ করিয়া কহিল “কর্তা জেঠা ! আমিও এসেছি।” * ব্ৰহ্ম ৷ কেরে উপশনি ! তুই এখানে কেন ? তোর বাবা শনি এখন কোথায় ?