পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর Ꮌb~Ꮍ উপ । জেঠ মহাশয়! আমি এখানে চাকুরী করবে। বাবা গবর্ণমেণ্ট আফিসে কৰ্ম্ম ক’রচেন। ব্ৰহ্মা । তুই বলিস কি ? এই পাহাড়ে দেশে এসেছিস্ চাকুরী ক’ৰ্বতে ! কেন, স্বর্গে কি একটু কাজকৰ্ম্ম জোটে না ? এর চেয়ে যে দেশে পাচটাকা মাইনের প্যায়দাগিরি ভাল ! উপ । বাবা ব’ল্লেন “বাঙ্গালীরা যেমন ব্যবসা বাণিজ্য ছেড়ে চাকুরী চাকুরী করে উন্মত্ত হয়েচে, চল তেমনি আমরা বাপ-বেটায় গিয়ে চাকুরীর বাজারে শুভদৃষ্টি দিয়ে আসিগে । আমি বুড়ে মানুষ, গবর্ণমেণ্ট আফিসগুলি ব্যতীত পেরে উঠব না, তুই বাবা একবার রেলওয়েতে কটাক্ষপাত ক’রে আয়, শুনেছি জামালপুরে অনেক রেলওয়ে কেরাণী আছে, তাদের বড়, মুখ ; বৎসরে দুইবার মাইনে বাড়ে এবং যাতায়াতের পাশ পায় । তুই সেখানে গিয়ে একবার বাজারটা গরম করে দিয়ে আয় । তাহাদের সুখের পথে কণ্টক ফেল। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! উপ 'বলে কি ? - বরুণ। শনি বা কোন চালাক ! এখানকার বড় বাবুরা তার চেয়ে বেশী চালাক—র্তাকে ট্যাকে গুজে নস্ত করতে পারেন। বাবা ! রেলওয়ের বড় বাবুদের কাছে এসেছ দাত ফুটাতে ? জামালপুর দেবগণ গেট দিয়া বাহির হইয়া ষ্টেশনের গুদামঘরে কিছু সময়ের জন্য উপবেশন করিলেন এবং বরুণ ও নারায়ণ বাসার অনুসন্ধানে চলিলেন। নারায়ণ ও বরুণকে বিদায় দিয়া দেবগণ বসিয়া গল্প করিতেছেন, এমন সময়ে রেলওয়ে ওয়ার্কসপের ( কারখানার ) ভোমা বিকটাকার শব্দে চীৎকার করিয়া উঠিল। সেই শব্দ শ্রবণে আমাদের পিতামহ লাফাইয়৷