জামালপুর >S) বরুণ। অর্থাৎ ওয়ার্কসপের ভোমা। ঐ ওয়ার্কসপে দেশী ও বিলাতী উভয়প্রকার লোক কৰ্ম্ম করে । ব্ৰহ্মা । ঠিক ; সে জন্তু এই জামালপুরে আছে বটে ! ভাল, যখন লোকগুলো ছুটে যায়, কতকগুলো বাঙ্গালী দেখুলাম–পাণ চিবাইতে চিবাইতে ছুটে গেল ; ওরা কে ?— বরুণ । ওরা ওয়ার্কসপের কেরাণী । নারা। এত প্রত্যুষে পাণ চিবাচ্চে কেন ? বরুণ। আহার হয়েছে—পাণ চিবাবে না ? নারা। এত শীতে এবং এত প্রাতে পেটে ভাত যায় ? বরুণ। না গেলে চলে কৈ ? ওদের দুর্দশার কথা ভাই ব’লে না ! রাত্রি তিনটার সময় উঠে “চাপাও চাপাও” শব্দে পরিবারের ঘুম ভাঙ্গাইয়া দেন। তার পর, দু-এক ঘটী কুপজল মাথার দিয়ে “ভাত আন, শীঘ্র ভাত আন, বেলা হ’ল” ব’লে চীৎকার আরম্ভ করেন । গৃহিণী গরম ভাত, তরকারি এবং গরম ডালের বাট কোলে দিয়ে যান। বাবুদের বেলা হইবার ভয়ে ঠাণ্ডা করিয়া খাইবার অবসর হয় না ; গরম গরম মুখে দিতে থাকেন। হয় ত দিবামাত্র ছ্যাক ছ্যাক্ শব্দে জিহবা দগ্ধ হইতে থাকে ; আমি ছাপ্পান্ন রকম মুখভঙ্গী ক’রে সেইগুলো কোৎ কোৎ শব্দে গিলিতে থাকেন। এদিকে গৃহিণী গরম দুধের বাটী নিকটে এনে অঞ্চলের বাতাস দিয়ে তাহা শীতল করিবার চেষ্ট পান। কোন কোন দিন এমনও হয়, বাবুর অৰ্দ্ধেক আন্দাজ ভোজন না হইতে ওয়ার্কসপের ভোমা বাজে। আমি কৰ্ত্ত ভাতের থালা ফেলিয়া লাফাইয় উঠে কহেন “প্রিয়ে! এই রইল তোমার দুধ, আমার ভাগ্যে খাওয়া হ’লে না।” ব’লে চোখে মুখে একটু জল দিয়ে ও একটা কুলকুচে করে, পাণ একটা গালে ফেলে দে ছুটু! : ইন্দ্র । আহা! দুধ খেয়ে না যাওয়ায় গৃহিণীর ত বড় দুঃখ হয়।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।