পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর >సె% তাহারা সেদিন আহারাদি করিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রাম লওয়ার পর জামালপুর ভ্রমণে বহির্গত হইলেন এবং সন্ধার কিছু পূৰ্ব্বে সাহেব-পাড়ার মধ্যে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইয়া দেখেন—স্থানট যেন অমরাবতী। প্রত্যেক সাহেব রেলওয়েপ্রদত্ত এক একটা বাড়ীতে বাসা পাইয়াছেন, এবং মনের সাধে গৃহগুলি সুসজ্জিত করিয়া মেমের সহিত যুগলবেশে উপবেশন করিয়া হাস্ত-পরিহাস করিতেছেন। মেমসাহেব কহিতেছেন “দেখ ডিয়ার টম, তোমার হাতে প’ড়ে যে টানাপাথার বাতাস খাব, টমটম হাকাব, এ আশা আমি একদিনও করি নাই ! আমার স্থির বিশ্বাস ছিল যে, আয়াগিরি ক’রেই জীবন যাবে।” সাহেব বলিতেছেন “মাইডিয়ার মেরি, পেরিক্লিডের হাতে প’ড়লে তোমার দশা কি হইত ? সে ত তোমাকে প্রায় হাত করেছিল, তোমাদের উভয়ে যথেষ্ট “লভ”ও হইয়াছিল । কিন্তু তোমার ভাগ্য ভাল যে, আমার হাতে পড়িয়াছ । পেরিক্লিড এক্ষণে সেলারের কার্য্য করিতেছে।” কোন গৃহে দেবগণ দেখেন, সাহেব বিবিতে তুমুল সংগ্রাম হইতেছে। সাহেব একখানি সংবাদপত্র স্বমুখে ফেলে ব’লচেন “এই লাইনটে সোজা হয় নাই।” মেম কহিতেছেন “ঠিক সোজা হইয়াছে, বল ত আমি রুল ধ’রে দেখায়ে দিতে পারি।” কোন গৃহে সাহেব দুঃখ করিয়া মেমকে বলিতেছেন “এখানে ভাই, তোমাদেরই মুখ ; আমাদের দুঃখের কথা কি ব’লবে-সমস্ত দিন ওয়ার্কসপের হাতুড়ি পিটে গাত্রে এমি বেদন হয় যে, “রাত্রে পাশ ফিরে গুতে পারিনে।” মেম বলিতেছেন “আহা ! মরে যাই, আগে এ কথা বল নাই কেন, আমি শূকরের চৰ্ব্বি দিয়া মালিস ক’রে দিতাম।” কোন গৃহে মেম কৌতুকচ্ছলে সাহেবকে বলিতেছেন “দেখ নাথ ! আজ যখন তুমি কারখানা থেকে কালি-বুলি মেখে বাসায় এলে, আমি দেখে বড় ভয় পেয়েছিলাম। আমার লিটিল উড, তোমাকে ঘোষ্ট ( Ghost ) ভেবে মুছ। যাবার মত হইয়াছিল। তোমার