পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०३ দেবগণের মর্ত্যে আগমন কাশী । বিবাহের বাজার আজ কা’ল ভয়ানক গরম। শুনবেন তবে—রাঘব বাবুর জেঠা এখানে ভাল কাজ কৰ্ম্ম করতেন। তিনি রামগোপাল গুপ্ত নামে একটা জংলাকে জঙ্গল থেকে ধ’রে এনে হাত ধ’রে “ক” “খ” লিখতে শিখিয়ে চাকরী করে দেন। এক্ষণে রামগোপাল বেশ দশ টাকা সংস্থান করেচে এবং একটা অকাল-কুষ্মাও ছেলেরও জন্ম দিয়েছে। রাঘব বাবু কন্যাদায়গ্ৰস্ত হয়ে মনে মনে স্থির করলেন, এই সময় রামগোপালকে ধ’লে সে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কুষ্মাওটা আমাকে প্রদান করতে পারে এবং আমার জাতি মান বজায় থাকে। এই ভেবে রাখৰ বাবু রামগোপালের নিকট গিয়ে তাহার পা দুখানি ধ’রে ভেউ ভেউ ক’রে কঁদিতে কঁাতে ব’ল্লেন “রামগোপাল ! ভাই রক্ষা কর, রক্ষা কর, আমার জাতি যায়।” রামগোপালের তাহাতে দুঃখ হওয়া দূরে থাক, বরং হাসতে হাসতে ব’লে “রাঘব ! তুই কি পাগল হয়েলি তাই আমার কাছে ছেলে চাচ্চিস্—জানিস ঐ ছেলে আমি পাচ হাজার টাকায় বেচুবে I* 贛 ব্ৰহ্মা । উঃ ! কি সৰ্ব্বনাশ । ছেলে বিক্ৰী !—তাহাও আরম্ভ হয়েছে ? বরুণ চল, দেশে পালাই চল ! কাশী । মহাশয় । সন্তান বিক্রয় করা কি মহাপাপ ? ব্ৰহ্মা । আমাদের অমরপুরের একখানি ধৰ্ম্মপুস্তকে বলে—যে সস্তান বিক্রয় করে, তাহার পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী পরবর্তী অষ্টাদশ পুরুষ নরকস্থ হয় ; এবং যে দেশে এই ঘটনা ঘটে, তথাকার লোকের দ্বাদশ পুরুষ, এবং যে ঐ কথা বলে ও যে ব্যক্তি শ্রবণ করে, তাহার ছয় পুরুষ নরকস্থ হয় । কাশী । আমি মহাশয় ! না জানাতে মহাপাপে লিপ্ত হলাম, এক্ষণে কোন প্রায়শ্চিত্ত থাকে ত আজ্ঞা করুন । নারা । প্রায়শ্চিত্ত আছে—শনি কি মঙ্গলবারে প্রাতে উঠেই বালিমুখে ছেলেবেচা দোকানদারের নিকট যেতে হবে, এবং তাহার অজ্ঞাতসারে