জামালপুর 있o ইন্দ্র। এ একটা রেলওয়ে কেরাণীদিগের মহৎ মুখ । তাহারা নানারূপ পুস্তকাদি পাঠ ক’স্কৃতে পায়। • বরুণ। বাঙ্গালী কেরাণীদিগকে পুস্তকাদি পাঠ করতে দেওয়া হয় না। তাহারা ময়লা হাতে পুস্তকগুলিকে ময়লা করে ফেলে ব’লে পুস্তক দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে । ক্রমে দেবতার সাহেবপাড়া দেখিতে দেখিতে একবারে হরিসভা-গৃহে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । বরুণ কহিলেন “পিতামহ ! এই জামালপুর হরিসভা । এই গৃহে প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার হরির উপাসনা, ভাগবত পাঠ, স্তোত্র এবং হরিসংকীৰ্ত্তন হ’য়ে থাকে। ব্ৰহ্মা । কলির যেটা প্রধান অঙ্গ, তা দেখুচি হ’য়েছে অর্থাৎ কলিকালে গ্রামে গ্রামে, নগরে নগরে হরিমণ্ডপ প্রতিষ্ঠা হবে এবং লোকে দিনান্তে একবার মাত্র হরেকৃষ্ণ হরেরাম” এই কয়েকট কথা উচ্চারণ করিলেই সৰ্ব্বপাপ হতে মুক্ত হবে। পূৰ্ব্বকার মুনি ঋষিরা শত বৎসর তপস্তা করে যে ফল প্রাপ্ত না হতেন, কলির মজুষ্যেরা একবারমাত্র হরিনাম ও হরিসংকীৰ্ত্তন করে সেই ফল প্রাপ্ত হবেন । “তপঃ পরং কৃতযুগে ত্রেতায়াং জ্ঞানমুচ্যতে । দ্বাপরে যজ্ঞমিত্যুচুৰ্নাম চৈকং কলে যুগে।” এখান হইতে দেবগণ ঘোড়দৌড়ের মাঠে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং বরুণ কহিলেন “এই ময়দানে প্রতি বৎসর নববর্ষ উপলক্ষে সাহেবদিগের অনেক আমোদপ্রমোদ হয়ে থাকে। সেই সময়ে ঘৌড়দৌড় হয় ব’লে ঐ দেখুন কাষ্ঠের রেলিং অস্তাপি বর্তমান রহিয়াছে। ঐ যে সম্মুখে পাহাড় দেখিতেছেন, উহার উপর তেঁতুল-তলায় পাহাড়ে কালী আছেন। তিনিই জামালপুরের একমাত্র গ্রাম্য দেবতা। পাহাড়ে কালীর সন্নিকটে পৰ্ব্বতগাত্রে একটি গুহা আছে। তাহাকে লোকে মুনিকোটর কহে । অনেকের সংস্কার আছে—ঐ কোটরে বসিয়া কোন সময়ে কোন মুনি তপস্তা করিতেন।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।