পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৪৮

8 ob- দেবগণের মর্ত্যে আগমন এখান হইতে দেবতার বাসায় চলিলেন । যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ কহিলেন “বরুণ! সম্মুখে দেখা যাচ্চে ওটা কি ?” বরুণ। ইংরাজদিগের ভজনালয় । উহার নাম চর্চ । ইন্দ্র । ওদিকে দেখা যাচ্চে ওটা কি ? বরুণ। উহাও একটী চর্চ । নারা । কতগুলো চর্চ ? বরুণ। দুইটা। একটা রোমান-ক্যাথলিক, অপরটা প্রেটেষ্টাণ্ট অর্থাৎ আমাদের যেমন শাক্ত ও বৈষ্ণব, উহাদেরও তেমনি দল আছে । ইহার পর সকলে বাসায় গিয়া আহারাদি করিলেন। যখন র্তাহারা আহারাস্তে খড়কে খাইতেছেন, তখন শ্রমজীবীদিগের স্ত্রীলোকের স্বামী ও পুত্রকে আহার করাইবার জন্য গামছায় ভাত বাধিয়া জলের ঘট হস্তে রাস্ত দিয়া ছুটোছুটি করিয়া আসিতেছিল । তাহাদের মস্তকের অৰ্দ্ধেক আন্দাজ সিন্দুর লেপ, সৰ্ব্বাঙ্গে উল্কি, সমস্ত হাতে চুড়ি, এবং হস্তে, পদযুগলে ও কর্ণে কাসার গহন । সকলে রেলওয়ে ওয়ার্কসপের সন্নিকটে আসিয়াই কেহ গাছতলায়, কেহ বা পথিপাশ্বে ভাতের পোটুলা নামাইয়া অপেক্ষা করিতে লাগিল। ক্রমে এগারটার ভোমা বাজিল। কুলির ছুটিয়া আসিয়া আহারে বসিল । উপ ছুটিয়া ছুটয় খাওয়া দেখিতে যায়—এবং কেহ শুদ্ধ লঙ্ক দিয়া ছাতু থাইতেছে, কেহ লবণ দিয়া ভাত খাইতেছে দেখিয়া হাস্ত করে, আর মনে মনে কহে “বাবা বলেছেন—যে দিন বাঙ্গালীর চাকরীর অভাবে এই শ্রমজীবীদিগের স্থান সকল দখল ক’রে রাস্তায় ব’সে ছাতু খাবে, সেই দিন আমাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করবেন। কিন্তু হায়! সে দিনের আর কত বাকী !” এই সময় ভোমা আবার সকলকে ডাকিল - দেবগণ গেটের নিকট আসিয়া দাড়াইলেন। তাহারা শুনিতে লাগিলেন, কতকগুলি লোক গল্প করিতে করিতে যাইতেছে। কেহ কহিতেছে “ভাই ! সাধুই আমাদের