জামালপুর ૨ ૦ છે মাথা খেলে ; কোম্পানির দোষ কি ? তাহারা ত অনুগ্রহ ক’রে পাশে লিখে দিতেন—পরিবারস্থ এত লোক। আমরা সেই পাশে গ্রামকে গ্রাম উজোড় ক’রে এনেছি অথচ কোন গোল হয় নাই। কিন্তু সাধু ক’রলে কি ? স্ন্যা ! বেণ্ডাকে পরিবার এবং বেঙ্গার মাকে মা ব’লে এনে ধর পড়লো ? সাহেবেরা একেবারেই পাশ বন্ধ করে দিচ্ছিলেন ; শেষে অনেক কাদাকাটির পর নিয়ম হয়েছে—শুদ্ধ পরিবারও পুত্ৰকস্তাগণ ব্যতীত পাশ দেবেন না । পাশ বৎসর বৎসর পূজার সময় একবারমাত্র দেওয়া হবে ; তবে যাহার ভাগ্য ভাল, আর বড় বাবুদের বশ করতে পাবে, সে দুইবার পেলেও পেতে পারে। ভাই ! চল আমরা সাধুকে মেরে জামালপুর ছাড়া করিগে ।” অপর ব্যক্তি কহিল ওরে ভাই, এখানে অনেক সাধু আছেন ; কেহ স্ত্রীকে কন্যার পাশ দিয়া এবং শাশুড়ীকে পরিবারের পাশ দিয়াও এনে থাকেন , কেহ কেহ আবশুক হ’লে—শালাকে নিজের ঔরসজাত ছেলে সাজান এবং জন্মদাতা পিতাকে বলেন "বাড়ীর খানসাম৷ ” কেরাণীরা চলিয়া গেলে দেবতার হাস্ত করিতে করিতে উপরে উঠিলেন এবং পরস্পরে বলিতে লাগিলেন “পাশের বাজারে আগুন সাধুর দোষে লাগে নাই, লেগেছে আমাদের উপর শুভাগমন-দোষে।” তাহার সকলে উপবেশন করিলে উপ ছুটে গিয়ে রাছনি বামুনের নিকট হইতে কাশীদাসী মহাভারতখানি চাহিয়া আনিয়া ব্ৰহ্মাকে পড়িয়া শোনাইতে লাগিল । - ব্ৰহ্মা কহিলেন “বরুণ। বৈখানি লিখেচে ভাল। এ লোকটা কে ?” বরুণ। আজ্ঞে ইহার নাম কাশীরাম দাস, ইহার বাট কাটোয় নামক স্থানের কিঞ্চিৎ দক্ষিণে—সিঙ্গিগ্রাম নামক স্থানে ছিল। ইহার পিতার নাম কমলাকান্ত দেব। কাশীরাম দাসই প্রথমে বঙ্গভাষায় মহাভারত লেখেন । এই সময়ে কাশীনাথ বাবু আসিয়া উপস্থিত হইলেন। উপ তাহাকে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।