SR>8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন গুড্স টুে,ণখানি বাহির হইয় গেল। গেটম্যান অমনি “ক্য কোচ” শব্দে গেট মুক্ত করিয়া দিল। দেবতারা গল্প করিতে করিতে ব্রাহ্মসমাজের সম্মুখে উপস্থিত হইলে কাশ বাবু কহিলেন “সম্মুখে দেখুন—জামালপুরের ব্রাহ্মদিগের মঠ ।” উপ। ঠাকুর কাক,চল না, মঠের মধ্যে কি ঠাকুর আছে দেখে আসি । নারা । কাশীবাবু! সন্ধ্যা হয়েছে, একটু অপেক্ষ করুন, আরতি দেখে যাই। কাশী । আজ্ঞে, ব্রান্ধের জ্যোতিৰ্ম্ময়, কিরণময়, আলোর স্বরূপ, নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনা করেন ; সুতরাং মঠে কোন প্রতিমূৰ্ত্তি নাই। ঈশ্বরকে আরতি করার পদ্ধতি ব্রাহ্মশাস্ত্রে উল্লেখ নাই, তবে যদি ভবিষ্যতে হয় বলতে পারি না। সন্ধ্যা দিবার নিমিত্ত রবি, ও বুধবার ভিন্ন উদঘাটন হয় না । ইন্দ্র । রবিবারে দ্বার খুলিয়া রাখিবার কারণ কি ? কাশী | সকলেই ইংরাজ সরকারে কাজ কৰ্ম্ম করেন, অন্ত বারে সুবিধা হয় না। রবিবারে আফিস বন্ধ থাকে, এজন্য ঐ দিন অনেক রাত্রি পৰ্য্যন্ত আমোদ প্রমোদ করিবার সুবিধা হয়। হয়েছে কি জানেন—আজ কাল কাচারও অবস্থা ভাল নহে ; সুতরাং বৈঠকখানা গৃহে পাচ এয়ার সঙ্গে ক’রে বসাটা প্রায় যার তার ভাগ্যে ঘটে না। ব্রাহ্ম হ’লে সে সাধট মেটে,—কতকগুলো এয়ার পাওয়া যায় এবং বাতির আলোয় ভাল বিছানায় ব’সে ফুটে সরসগল্প, একটা ভক্তিরসের গান এবং দুই একটা কীৰ্ত্তনও শোনা হয়। ব্রাহ্ম-সমাজে নাম লিখিয়ে পৈতে গাছটা না ফেলে দিতে পারলে যৌবনটা যেন খাপছাড়া থাপছাড়া বোধ হয় ।*
- ব্রাহ্মপ্রভৃতি ধৰ্ম্মের নিগুঢ় তত্ত্ব না জানাতেই দেবগণ এইরূপ ও পূৰ্ব্বোক্তরূপ সমালোচনা করিয়াছিলেন ।—সম্পাদক ।