পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর নারা । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যখন হিন্দুধৰ্ম্ম, তখন বৃহস্পতিবারেই সমাজ খুলিবার নিয়ম করা উচিত। কাশী । বর্তমান ব্রাহ্মধৰ্ম্ম চারিটি পৃথক পৃথক্ ধৰ্ম্ম হ’তে কিছু কিছু দোহন ক’রে নিয়ে নিৰ্ম্মাণ করা হয়েছে ; ইহাতে হিন্দুমতে বেদীতে বসা, সম্মুখে পুস্তক রাখা এবং চক্ষু মুদ্রিত করিয়া ধ্যান করিবার অংশটা আছে। নাস্তিক মতে পৈতা ফেলা এবং মুসলমান মতে দাড়ি রাখার ও বিধবা বিবাহ করার অংশটা আছে। খ্ৰীষ্টান মতে যন্ত্রাদি বাজাইয়া সঙ্গীত করা, উপদেশ দেওয়া এবং রবিবারে উপাসনা করার অংশটা লওয়া হইয়াছে । মুতরাং বৃহস্পতিবারে সমাজ খুলিলে চলে কৈ ? এই সময়ে কাশীনাথ বাবু একটা যুবকে দেখিয়া কহিলেন—“হ্য। হে, মেজ বাবু কেমন আছেন ?” “সমস্ত দিনটে ফোমেণ্ট করে এক্ষণে একটু ভাল বোধ হচ্চে। ডাক্তারেরা তারপিন তেল দিয়ে ভূড়িটে মালিশ করে দিতে বলায় তেল কিস্তে যাচ্চি।” বলিয়া যুবা প্রস্থান করিল। ইন্দ্র । কাশী বাবু! মেজে বাবুর কি হয়েছে ? কাশী । মেজে বাবুর রাত বেড়ান রোগটা বিলক্ষণ আছে। তিনি দুই ভাৰ্য্যা সত্ত্বেও এক উপপত্নীকে বেতন দিয়া একচেটে করিয়া রাখিয়াছেন। উপপত্নীকে বেতন দিয়ে একচেটে করিবার চেষ্টা করা যে কতদূর নিৰ্ব্বদ্ধিতার কাজ, মেজে বাবু তাহা একদিনও মনে ভাবেন নাই। তাহারা যদি সৎপথেই থাকিবে, তবে স্বামী পুত্ৰ সত্ত্বে কুলে জলাঞ্জলি দিয়া আসিবে কেন ? এখন হয়েছে কি জানেন—ঐ বেণ্ডার কাছে আমাদের মেজো বাবুর অধীন দুইজন কেরাণীও গোপনে যাতায়াত করিত । গত কল্য মেজো বাৰু হঠাৎ তাহাদিগকে দেখিতে পাইয়া তিরস্কারপূর্বক যেমন প্রহার করিবার উদ্যোগ ক’ৰ্ব্বেন, আমি একটী ছোটখাট যুদ্ধ আরম্ভ হইল । যুদ্ধে যুবকদ্বয় জয় লাভ করিয়া মেজে বাৰু মহাশয়কে চিত ক’রে ফেলে