জামালপুর R )సి ইন্দ্র একট দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন—“হা রে চাকুরী ! হা রে পয়সা ।” - দেবতারা এখান হইতে অডিট আফিসে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । র্তাহারা দেখেন, একটা গৃহমধ্যে “ঘটু ঘটু ঘটাঘটু” শব্দে টিকিট প্রস্তুত হইতেছে। বরুণ কহিলেন “দেবরাজ, আমরা যে টিকিট খরিদ ক’রে ট্রেণে উঠি, চেয়ে দেখ সেই টিকিট প্রস্তুত হচ্ছে। আর গাড়ি হ’তে নামিয়া যে টিকিট প্রত্যৰ্পণ করি—ওদিকে দেখ, সেই সমস্ত টিকিট অগ্নিতে ভস্ম করিয়া ফেলিতেছে।” এই সময়ে আফিসের ভিতরে ক্ৰন্দনের শব্দ উঠিল। দেবতার শুনিলেন, যেন সকলে চীৎকার করিয়া বলিতেছে——“ওরে বাপরে । পুটুলে ক্ষেপ্লা প’ড় লোরে । প’ড়লো!” এই শব্দ শ্রবণে দেবগণ ও কাশীবাবু সবিস্ময়ে চাহিতেছেন, এমন সময়ে দেখেন ৪০/৫০ জন কেরাণী কঁাদিতে কঁাদিতে বাহির হইতেছেন। কাশী। মহাশয়ের কাচেন কেন ? কেরাণীগণ কহিল “সৰ্ব্বনাশ হয়েছে মহাশয়! মস্ত একটা রিডক্সনের হুকুম এলো । আহা ! অনেক কষ্টে চাকরী হ’লে ভেবেছিলাম দুদিন থাকৃবে, কিন্তু এমি কপাল ১৫ দিনও ভোগ করতে পেলেম না ! রেলওয়ে চাকরী যেন পদ্মপত্রের জল, যেন কলের রোগের রোগী ; প্রাতে কিছু জানি না, স্নান আহ্নিক সেরে হাস্তে হাসতে আফিসে এসে যেমন কাজে ব’সেছি, আমি এই মৃত্যু-খবর এসে উপস্থিত হ’লো!” ইন্দ্র । মহাশয়ের ব’লতে পারেন “পুটুলে ক্ষেপুল প’ড় লোরে প’ড় লো” ও শব্দটার অর্থ কি ? কেরাণীরা । আজ্ঞে, রিডক্সনের নিয়ম হ’চ্চে—অল্প বেতনের চুনে পুটিরই প্রাণ যায়। রুই মিরগেলের একখানি আঁইষ পৰ্য্যন্ত খসে না । নারায়ণ ইন্দ্রের কাণে কাণে কহিলেন “উপ বেটা মস্ত পয়মস্ত ; বা ! চারিধারে বেশ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।