J>ど? দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। আমরা ভাল ভেবে শীতকালে মর্তে আসিতে চাহিয়াছিলাম, কিন্তু কপালক্রমে মন্দ হইল । ব্ৰহ্মা । আপাততঃ আমাকে আগুন ক’রে সেক তাপ দিয়ে বাচাও । এই সময় অদূরে কতকগুলি কুটার দেখিয়া বরুণ কহিলেন, “চলুন ঐ কুটীরের মধ্যে যাইয়া আপাততঃ আশ্রয় লই । বোধ হয়, সম্প্রতি হরিদ্বারের মেলা হইয়া গিয়াছে।” এই কথা বলিয়া সকলে কুটীরের মধ্যে উপস্থিত হইলেন এবং চকমকী বাহির করিয়া ঠুকিতে লাগিলেন। শোলাগুলি খারাপ হইয়াছিল, আগুন পড়িলামাত্র ভিতরে প্রবেশ করিয়া নিৰ্ব্বাণ হইতে লাগিল । অতএব শোলাতে আগুন পড়িবামাত্র পরস্পরে “শোলার গলা টিপে ধর” “শোলার গলা টিপে ধর” বলিয়া চীৎকার ও তদ্রুপ চেষ্ট করিতে লাগিলেন । কিছুতেই কিছু হইল না। অবশেষে অতি কষ্টে -নারায়ণ অগ্নি বাহির করিলেন । তখন দেবগণ সানন্দ চিত্তে আগুন ধরাইয়৷ তামাক টানিতে লাগিলেন । ব্ৰহ্মা। বরুণ, তখন তুমি বলছিলে—হরিদ্ধারে কুম্ভ মেলা হইয়৷ গিয়াছে । মেল কি, এবং হয় কেন, আমাকে বিশেষ করিয়া বল । বরুণ । ভগীরথের তপস্তায় ভাগীরথী সন্তুষ্ট হইয়া যখন মত্ত্যে আগমন করেন, প্রথমে এই স্থানে পতিত হন । তজ্জন্ত এখানে অদ্যাপি দ্বাদশ বৎসর অস্তুর একটা করিয়া প্রসিদ্ধ মেলা হইয়া থাকে। ঐ মেলাকে কুম্ভমেলা কহে । যাত্রিগণ মেলার সময় আসিয়া মহাবিষুব সংক্রান্তির দিন কুম্ভযোগে স্নান করিয়া থাকে । সেই সময়ে এখানে সমারোহের পরিসীমা থাকে না । ভারতের প্রত্যেক প্রদেশের রাজারাই প্রায় ঐ উপলক্ষে অসংখ্য অসংখ্য দাস, দাসী, হস্তী, অশ্ব, বাদ্যভাণ্ড সমভিব্যাহারে আসিয়া দীন দরিদ্রদিগকে অসংখ্য ধন দান করিয়া থাকেন এবং নানা প্রদেশ হইতে শৈব, শাক্ত, নাগ, সন্ন্যাসী, দণ্ডী, মোহান্ত, পরমহংস, অবধূত ও রামায়তগণ আসিয়া উপস্থিত হন। কেবল আধুনিক ব্রাহ্ম
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।