૨૨8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন আমাদেরও অধীনে ২১ জন কেরাণী আছে । আমরা কখনই ছোট বাবুদের সহিত হিমে বসে আসেদ্ধে লুচি লবণ-টাকৃন দিয়ে খাব না। হয় আমাদের বড় বাবুদের সহিত একত্রে বসাও, নইলে চলে যাব।” অপর কহিল “টুপিড ! এখনি চলে যা । তোর স্পৰ্দ্ধা তো কম নয়। সসাগর-জামালপুরাধীশ্বর মহাপ্রতাপান্বিত যে বড় বাবুদের প্রসাদে তুই ক্ষুদ্রতম বড়বাবু পদে অধিষ্ঠিত আছিস, সেই মহাত্মা,—বেতন বৃদ্ধি, পাশ ও ছুটী দেবার বিধাতাদিগের সহিত একত্রে বসে আহার করতে ইচ্ছা করিস্ ? আ! ধিক্ । ধিক্ ! তোরা কি জানিসনে, অনেক সাধ্য সাধনা, অনেক ভজন পূজন উপাসনা ও তেল না দিলে বড় হওয়া যায় না ? নরাধম! তুই আজ যে পাপ ক’বুলি—হয় তো এই পাপে ক’লই তোর চাকুরী যাবে। তোর প্রভিডেন্ট ফণ্ডের গচ্ছিত টাকা উঠিয়ে নেওয়া ভার হবে ।” দেবগণ দেখেন, এই সময় কাশী বাবু পকেট হইতে একটী টাকা বাহির করিয়া ঘন ঘন তাহাকে চুম্বন করিতেছেন এবং কখন মস্তকে, কখন কপালে, কখন বক্ষে ধারণ করিয়া কহিতেছেন—’হে টাকা ! হে মুদ্র ! হে মহারাজী-মহারাজ মুখমণ্ডলশোভিত-শ্বেতবর্ণ গোলাকারমূৰ্ত্তি ! তোমাকে শত শত প্রণাম করি । তুমি যাহার গৃহে বিরাজ কর, স্বদে আসলে তাহাকে অনেক প্রসব করিয়া দেও । তুমি চারি যুগ সমভাবে নিজ ক্ষমতা বিস্তার করিতেছ। তুমি মৰ্ত্ত্যে জাজ্বল্যমান দেবতা । তোমার দয়ায় লোকে স্বৰ্গসুখভোগ এবং তোমার করুণ বিহনে নরকযন্ত্রণা ভোগ করে। তোমার ক্ষমতা অসীম—তুমি ভ্ৰাতায় ভ্ৰাতায় বিবাদ ও মুখ দেখাদেখি বন্ধ করিয়া দিতে পার । তোমার কুহকে প্রবঞ্চকের প্রবঞ্চন করিয়া অপরের বিষয় লইতেছে । তোমার গুণে ভাগুর ভাদ্রবধূকে বিষদানে প্রাণে মারিতেছে। তোমার মহিমায় অনেকে খুড়ী জেঠীকেও বেগুাপবাদ দিতে ছাড়িতেছে না। তোমার গুণে কেহ কেহ পিতৃবধপাপে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।