পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন লৌহের পয়সার আকৃতি অসংখ্য নম্বর সাজান রহিয়াছে। কতকগুলি বাবু সেইগুলির নিকট দাড়াইয়৷ কাণ খাড়া করিয়া আছেন। বহির্ভাগ হইতে শ্রমজীবীরা “হাজার, তিন কুড়ি ছয়” বলিবামাত্র বাবুর তৎক্ষণাৎ সেই খানি লইয়। টুক করিয়া ফেলিয়া দিতেছেন। ব্ৰহ্মা। বরুণ, এগুলো দেবার তাৎপৰ্য্য কি ? এবং “হাজার তিন কুড়ি ছয়” শব্দের অর্থ কি ? বরুণ। এই যে নম্বরগুলি সাজান রহিয়াছে, এত লোক এই কারখানায় কাজ করিতেছে। এই টিকিটের দ্বারা কত উপস্থিত, কত অনুপস্থিত সহজে জানা যায় । অসভ্য শ্রমজীবীর হাজার ছয়টি স্মরণ রাখিতে পারে না, এজন্ত তিনকুড়ি ছয় বলিতেছে। টিকিটু লইয়া যেমন কুলির কারখানার প্রবেশ করিল, আমি চারি দিক্ হইতে সজোরে এমন ‘ঝমাঝম গমাগম” শব্দ আরম্ভ হইল যে, কাণ পাতা দায় । দেবতার কারখানার মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন, একটা গ্রামকে গ্রাম অট্টালিকাশ্রেণী বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে । কোন দিক্ দিয়া দুই চারিট রেল-রাস্ত সোজা চলিয়া গিয়াছে। কোন স্থানে এক খানি ভাঙ্গ কল (এন্‌জিন্‌) লইয়া ১০।১২ জন কুলি চিৎকার করিতে করিতে টানিয়া আনিতেছে। কোন স্থানে কতকগুলি লোক দাড়াইয়া একখণ্ড বৃহদাকার লৌহ মস্তকে তুলিবার চেষ্টা পাইতেছে। কোন দিক্ দিয়া একজন মোটা কেঁদে সাহেব হন হন বন বল্ শব্দে দ্রুতপদে চলিয়৷ যাইতেছেন। তৎপশ্চাৎ দুই চারিজন হিন্দুস্থানী সেপাই কাগজ কলমের বাক্স হাতে ও খাতা বগলে ছুটিতেছে। কোন দিক্ হইতে একজন কেরাণী কাণে পেনসিল, হাতে একখানি চিঠি লইয়া এক মনে পাঠ করিতে করিতে আসিতেছেন । দেবগণ একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন—বাম্পের দ্বারা অনেকগুলি কল ঘুরিতেছে। এবং রেলওয়ে শকটের জন্ত যে যে দ্রব্যের আবগুক,