জামালপুর ২৩৩ বেশী করে খাচ্চো তো ? একটু ভাই বেশী করে মাথায় সিঁদুর দিও। আশীৰ্ব্বাদ করি জন্মায়তি হও, আবার যেন তোমাকে ব্রাহ্মমতে তৃতীয় পক্ষে বিবাহ করতে না হয় । কোন রমণী কহিতেন "বলি ব্রাহ্মবেী,তোমাদেরও কি বিয়ের সময়ে মন্ত্র পড়িয়ে দান উৎসর্গ করে ? সত্যি ক’রে বলন ভাই, কলা তলায় কজনে তোমাকে পিড়িতে বসিয়ে উচু করে ধীরে বলেছিল—বর বড় না ক’নে বড় ?” কোন রমণী হয় তো জিজ্ঞাসা করিয়া বসিতেন বলি ব্রাহ্মদিদি, তোমাদের কি বাসর-ঘর আছে ? চারি চোখে শুভদৃষ্টি করতে হয় তো ? সত্যি ক’রে বল—তুমি ভাই ফুলশয্যার দিন কি কথা কয়েছিলে ? তোমার ছেলেট কোথায় ছিল ?” আর এক রমণী হয় তো বলিয়া বসিলেন—“বলি, হ্যাগ, ওগো ! তোমার কি ধূলোপায়ে লগ্ন হয়েছিল ? জামাই বিয়ে করতে এসেই তো ছেলে কোলে ক’রে আদর করেছিলেন ?”. এইরূপ প্রত্যহ বিরক্ত করায় ইহঁারা জামালপুর পরিত্যাগ করিয়া মুঙ্গেরে যাইতেছেন। অনেকদিন বাস করিয়া স্থানটীতে মায়া বসায় দুঃখিত হইয়াছেন । ব্ৰহ্মা । দেখ বরুণ, মুঙ্গেরী কেরাণীর কেমন ধাৰ্ম্মিক ! ইহার জামালপুর হইতে টাকা উপার্জন করিয়া লইয়া যায়। এমন কি হাড়ি, কলসী, পাণ, তামাক, কাষ্ঠ পৰ্য্যন্ত জামালপুর হইতে মুঙ্গেরে লইয়া যায়, অথচ মুঙ্গেরে বাসা করিয়া থাকে। ইহার কারণ কি, কিছু বুঝে ?— অর্থাৎ তথায় থাকিলে পতিতপাবনী ভাগীরথীতে স্নান করিতে পাইবে । কাশীনাথ বাবু হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “আজ্ঞে, তা নয়, সেখানে ঢেবুয়া চলে ।” ব্ৰহ্ম । ঢেবুয়া কি ? কাশী ! লৌহ ও তাম্র-মিশ্রিত এক প্রকার পয়সা । ঐ গুলো টাকায় ১৮ গও, ১৯ গও করিয়া বিক্রয় হয় । এবং উহার এক একটায় মুঙ্গেরের বাজারে তরকারী প্রভৃতি খরিদ করিতে পাওয়া যায়, জামালপুরে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।