পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ দেবগণের মর্ত্যে আগমন তা হবার যো নাই। এক্ষণে আমি বিদায় হই ; কারণ ট্রেণ ছাড়িবার আর বিলম্ব নাই। এই সময় সমস্ত কেরাণীরা আসিয়া ট্রেণে উঠিল। ট্রেণ “ছ ছ পাইয়া ছ ছ পাইয়া” শব্দে উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিতে লাগিল। ব্ৰহ্মা কহিলেন “বরুণ, জামালপুরে আর যা কিছু আছে সংক্ষেপে বল ?” বরুণ। জামালপুর পূৰ্ব্বে অরণ্যপূর্ণ ব্যাঘ্র-ভল্লুকের আবাসভূমি ছিল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই স্থানে শ্রমজীবীর সংখ্যা বেশী দেখিয়া হাবড়া হইতে ওয়ার্কসপ এবং অনেকগুলি আফিস উঠাইয়া আনিয়া স্থানটকে জঙ্গল কাটিয়া নগর করিয়৷ তুলিয়াছেন। এক্ষণে ইহাতে দিন দিন বিদ্যাশিক্ষার বিশেষ উন্নতি দেখা যাইতেছে । বর্তমান সময়ে ইহাতে একটা ইংরাজী বিদ্যালয়, একটা বালিক। বিদ্যালয়, দাতব্য সভা, যুবকগণের সভা, নেটিভ ইনিষ্টিটিউটু প্রভৃতি সাধারণের হিতকর অনেক সভা ইত্যাদি আছে। ক্রমে ট্ৰেণ মুঙ্গেরে আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবতারা ষ্টেশনের বাহিরে আসিয়া দেখেন, মুঙ্গেরের প্রকাও দুর্গ তাহদের সম্মুখে বিরাজ করিতেছে। মুঙ্গের উপ। বরুণ কাক ! গাঙ্গুলিদের খামার বাড়ার দেওয়ালের মত দেখা যাচ্চে ওটা কি ? বল না বরুণ কাক ! বরুণ । দেবরাজ ! চেয়ে দেখ সম্মুখে মুঙ্গের কেল্লা । ইন্দ্র । এ কেল্লা নিৰ্ম্মাণ করে কে ? বরুণ । লোকে বলে—এ কেল্লা জরাসন্ধ রাজার ছিল। তৎপরে মুসলমানদিগের সময়ে নবাব হোসেনের হস্তগত হইয়া সা সুজার হস্তে যায় । পরে মীরকাসিমের সময় ইহার পুনরায় সুন্দররাপে মেরামত হয়। এক্ষণে ইহা ইংরাজরাজের অধীনে আছে এবং ইহার প্রশস্ত ক্রোড়ে কতকগুলি ইংরাজ