Հ8 օ দেবগণের মর্ত্যে আগমন দুই পক্ষ অনাহারে থাকিয় তৃতীয় পক্ষে আহারের উদ্যোগ করিলেন, সেবারেও নারায়ণ আসিয়া সমস্ত দ্রব্য আহার করেন। তিনি ভাবিলেন বারংবার আহার করিয়া যাইতেছি ; কিন্তু ঋষি অনাহারে থাকিয়া ক্রুদ্ধ না হইয়া বরং উত্তরোত্তর সস্তুষ্ট হইতেছেন ; অতএব ছদ্মবেশী নারায়ণ কহিলেন, “হে মুদগল ! তোমার অভিলষিত বর প্রার্থনা কর।” ঋষি কহিলেন, “তুমি আমাকে বর দিতে চাহিতেছ—তুমি কে ?” নারায়ণ কহিলেন “তুমি যাহার জন্য এই কঠিন তপস্তা-ব্রত অবলম্বন করিয়াছ, আমি সেই নারায়ণ, তোমার তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া বর দিতে ইচ্ছা করিতেছি।” ঋষি কহিলেন “আমার কোন বর আবশ্যক হইতেছে না, যেহেতু পৃথিবীর কোন বিষয়ে আমার অভিলাষ নাই। এক পরমব্রহ্মের অভিলাষ ছিল ; কিন্তু আপনার সাক্ষাৎকার লাভ হওয়াতে সে আশাও পুর্ণ হইল। ফলতঃ একবার আপনার প্রকৃত রূপ দেখিতে অভিলাষ করি।” নারায়ণ তৎশ্রবণে নিজ মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিলেন এবং কহিলেন “আমি তোমার উপর অতীব সস্তুষ্ট হইয়া বর দিতে চাহিতেছি, অতএব যে কোনও বর প্রার্থনা করিয়া আমার অভিলাষ পূর্ণ কর।” তখন ঋষি কহিলেন “তবে এই বর প্রদান করুন—এই ঘাটে আপনার সহিত সাক্ষাৎ হওয়াতে যেমন আমার কষ্ট দূর হইল, তেমনি অদ্য হইতে ইহার নাম কষ্টহারিণী ঘাট হউক। অতঃপর যে কোন ব্যক্তি এই ঘাটে স্নান দান করিবে, মরণাস্তে সে যেন বৈকুণ্ঠ প্রাপ্ত হয় ।” ব্ৰহ্ম । আ মরি! মরি! কষ্টহারিণী ঘাট কি মহাতীৰ্থ! ইন্দ্র । ভাল বরুণ ! মুদগল হইতে মুঙ্গের নাম হইল কি প্রকারে ? বরুণ। বেহারীরা সচরাচর ল স্থানে র উচ্চারণ করিয়া থাকে, সুতরাং মুদগল হইতে মুদ্রগর বা মুঙ্গল নাম হইয়া এক্ষণে মুঙ্গের হইয়াছে। দেবতারা জলে নামিয়া স্নান করিতে লাগিলেন । ব্ৰহ্মা বরুণের
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।