মুঙ্গের ૨8છે তিরস্কারের ভয়ে মনে মনে ডাকিতে লাগিলেন গঙ্গে ! পতিতোদ্ধারিণি ! একবার দেখা দেও মা –কমণ্ডলুতে এস মা !” স্বান করিয়া যেমন র্তাহারা উপরে উঠতেছেন, গঙ্গাপুত্রের দ্রুত আসিয়া তাহাদের গলদেশে পুষ্পমাল্য অর্পণ করিয়া কপালে রক্ত শ্বেত চন্দনের ছাপ দিতে লাগিল। দেবগণ তাহাদিগকে ২১ পয়সা দান করিয়া করণচড়া দেখিতে চলিলেন । করণচড়ায় উপস্থিত হইয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন “বরুণ! এ স্থানের নাম করণচড়া হইল কেন ? এবং করণচড়ার উপর এ মুন্দর বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ। লোকে বলে মহাভারতোক্ত মহাবীর কর্ণ প্রত্যহ কষ্টহারিণী ঘাটে স্নান করিয়া এই প্রস্তরের বেদিতে (সামান্ত পাহাড়ে ) উপবেশন করিয়া শত শত দীন দরিদ্রকে অকাতরে রত্ন কাঞ্চনাদি দান করিতেন । তিনি ইহাতে চড়িয়া দান করিতেন বলিয়া ইহার নাম করণচড়া হইয়াছে। ঐ যে সুন্দর অট্টালিকাটা দেখিতেছেন, উহাতে পূৰ্ব্বে মুঙ্গেরের সিভিল জজ বাস করিতেন। তৎপরে মুরশীদাবাদের রায় অন্নদাপ্রসাদ রায় বাহাদুর নামক কোন ধনী জমিদার ইহা ক্রয় করেন । লোকের মনে বিশ্বাস আছে, এই পীঠস্থানের উপর যে কেহ বাস করিবে, সে অল্পদিনের মধ্যে শমনসদনে গমন করিবে । * এখান হইতে র্তাহার একটী রাস্তা দিয়া চলিলেন । রাস্তাটার উভয় পাশ্বে দেখেন—বহুকালের অশ্বখ, পাকুড় ও বটাদি বৃক্ষ সকল বহুদুর শাখা প্রশাখা সকল বিস্তার করিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে । দেখিলে বোধ হয়, ইহারা যেন একদৃষ্টে মুঙ্গেরের অদৃষ্টলিপি দৰ্শন করিতেছে এবং মধ্যে মধ্যে শিশিরক্লপ অশ্রুবারি পরিত্যাগ করিয়া মনোদুঃখ ব্যক্ত করিতেছে। এই স্থানে উপস্থিত হইয়া দেবগণের মনে এক অভিনব ভাবের উদয় হইল।
- রায় অন্নদাপ্রসাদ রায় বাহাদুরের অকালে মৃত্যু হওয়ায় লোকের মনে দৃঢ় দ্বিাস হইয়াছে যে, করণচড়ার বাটতে যে বাস করিবে নিশ্চয়ই তাহার রক্ষা নাই । * ·
స్క్రి