পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৮৪

२8२. দেবগণের মৰ্ত্ত্যে আগমন তাহারা দাড়াইয়া দাড়াইয়া গাছগুলির প্রতি একদৃষ্টি চাহিতে লাগিলেন। পিতামহ কহিলেন “দেখ বরুণ! আমার মনুষ্যগণ অপেক্ষ বৃক্ষগণ অনেক মুখী এবং অনেককাল স্থায়ী। আমার বোধ হইতেছে, এই বৃক্ষের মুঙ্গেরের সৌভাগ্যের দশা হইতে মিরকাসিমের অত্যাচার প্রভৃতি অনেক বিষয় চক্ষে দেখিয়াছে এবং এক্ষণেও ইহার ধ্বংসের অবস্থা অবলোকন করিতেছে। কিন্তু মুঙ্গেরের সেই সমস্ত মহাপুরুষ, সেই সমস্ত পাষণ্ড এক্ষণে কোথায় ? একবার আসিয়া দেখুক—তাহাদের অপেক্ষ, তাহাদের অকিঞ্চিৎকর দেহ অপেক্ষা, তাহাদের হস্তরোপিত বৃক্ষগুলি কতকাল স্থায়ী। পরিতাপের বিষয় এই, আমার মনুষ্যেরা আপনাদিগকে বৃক্ষাদি অপেক্ষা অল্পকালস্থায়ী দেখিয়াও ধনমদে ঐশ্বৰ্য্যমদে উন্মত্ততা প্রকাশ করিতে ছাড়ে না । এখান হইতে দেবগণ চণ্ডীস্থানের অভিমুখে চলিলেন। উপস্থিত হইয়া দেখেন—নগরপ্রান্তে বিজন স্থানে এবং ভাগীরথীতীরে একটা মন্দির মধ্যে দেবীমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে। নিকটে অপর একটা শিবমুৰ্ত্তি বিরাজমান রহিয়াছে। অশ্বথতলায় কয়েকটা সন্ন্যাসী চক্ষু মুদ্রিত করিয়া বসিয়া আছেন। একটা কুকুর দেবগণকে দেখিয়া ঘেউ ঘেউ শব্দে ডাকিয়া উঠিল। উপ একখানি এগার ইঞ্চি ইট হাতে লইবামাত্র কুকুরও আত্মসাবধান হইয়া দূরে পলায়ন করিল বটে ; কিন্তু ডাকিতে ছাড়িল না। বরুণ। পিতামহ । ইহারই নাম বিক্রমচণ্ডী। ব্ৰহ্মা। এ মুৰ্ত্তি কে প্রতিষ্ঠা করে এবং ইহার নাম বিক্ৰমচণ্ডী হইল কেন—আমাকে বিশেষ করিয়া বল । বরুণ। বেহারীরা বলে—ইহা বায়ান্ন-পীঠের মধ্যে একট পীঠস্থান ; কিন্তু শাস্ত্রাদিতে তাহার কোন উল্লেথ দেখা যায় না । এই চণ্ডী সম্বন্ধে একটা অদ্ভূত গল্প এখানকার পাণ্ডাদিগের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। ইন্দ্র । সে গল্পটা কি ?