মুঙ্গের 8S) বরুণ। তাহারা বলে—মহামতি কৰ্ণ প্রতিদিন রজনীযোগে ভাগলপুর হইতে এখানে ইহাকে পূজা করিতে আসিতেন। ভাগলপুরে কর্ণপুরী ছিল । তিনি আসিয়াই প্রকাও অগ্নি প্রস্তুত করিয়৷ তদুপরি এক কড়া ঘৃত চাপাইয়া পূজা করিতে বসিতেন । পূজা হইলে সেই কড়াস্থিত উত্তপ্ত ঘৃতমধ্যে লাফাইয়া পড়িয়া প্রাণত্যাগ করিতেন। র্তাহার মাংসাদি ঘৃতে উত্তমরূপে ভাজা ভাজা হইলে দেবীর ডাকিনী যোগিনীগণ আসিয়া সেই মাংস লইয়া আহার করিতে বসিত । আহার শেষ হইলে একখানি অস্থিতে অমৃতকুণ্ডের জল দিয়া তাহাকে সজীব করিয়া বর দিতে চাহিত। কর্ণ তদনুসারে ঐ কড়ার এক কড়া স্বর্ণ, রৌপ্য, হীরকাদি প্রার্থনা করিতেন। এবং প্রাতে সেই সমস্ত রত্ন কাঞ্চনাদি দরিদ্রদিগকে দান করিতেন । রাজা বিক্রমাদিত্য, কর্ণ প্রত্যহ এত অর্থ কিরূপে সং করেন জানিবার জন্ত, তাহার নিকটে ছদ্মবেশে আসিয়া ভৃত্য হইতে প্রার্থনা করেন। কর্ণ র্তাহাকে এই স্থানের ভৃত্য নিযুক্ত করিয়া পুষ্প চয়ন এবং পূজার স্থানাদি করিবার ভারার্পণ করিয়াছিলেন। বিক্রমাদিত্য পূজার পদ্ধতি ও উক্ত স্থতে দেহত্যাগ ইত্যাদি কৌশল দেখিয়া একদিন কৰ্ণ আসিবার পূৰ্ব্বে স্বয়ং পূজাদি সমস্ত কাৰ্য্য শেষ করিয়া স্কৃতে প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া ভাজা ভাজা হইলেন। ডাকিনী যোগিনীগণ র্তাহার মাংস ভোজন করিয়া অমৃতকুণ্ডের জলে জীবন দান করিয়া বর দিতে চাহিলে এই বর প্রার্থনা করেন যে,—অদ্য হইতে কর্ণ আসিবামাত্ৰ যেন র্তাহার প্রার্থিত রত্ন কাঞ্চনাদি প্রাপ্ত হন , আর যেন কষ্ট পাইয়া তাহাকে উত্তপ্ত ঘৃতে জীবন ত্যাগ করিতে না হয়। অনেক কষ্টে যোগিনীগণ র্তাহাকে এ বর প্রদান করিলেন। বিক্রমাদিত্য বর প্রাপ্ত হইয়া সেই ব্যুতের কড়াখানি দেবীর গৃহের ছাদের উপর উণ্টাইয়া চলিয়া গেলেন * ।
- বিক্রমাদিত্য অনেকগুলি ছিলেন—এক্ষণে সপ্রমাণ হইয়াছে।