মুঙ্গের ૨86: আমাদিগকে নিরাশ্বাস করিয়া ফিরাইয়া দিয়াছেন। কি আশ্চৰ্য্য! তাহাদের কি এমন দিন উপস্থিত হইবে না ? বিধাতা কি তাহাদিগের ভাগ্যে মৃত্যু লেখেন নাই ? ঈশ্বর অবগুই এ সব বিষয় দেখিতেছেন, তিনি অবশুই ইহার বিচার করিবেন । দুঃখের কথা কি কহিব— অনেকেই মুক্তকণ্ঠে কহিলেন “তোমরা কেন ময়লা ফেলার গাড়ী করিয়া লইয়া যাওনা ? কেহ বা কহিলেন ‘ডেকারা নদীতে ফেলিয়া এস, তাহ হইলে ২৪ জনেই লইয়া যাইতে সক্ষম হইবে—আমাদের আর সাহায্য আবগুক হইবে না।” আবার কতকগুলি লোক কহিলেন ‘কবর দেও।” এই কবর দেওয়ার কথার আবার পোষকতা করিয়া অনেকে বলিলেন “বাঙ্গালীদের গঙ্গাতীরে লইয়া যাইয়া সৎকার করা অপেক্ষা কবর দেওয়া সহস্র গুণে ভাল । তাহা করিলে আমরা চাদ দিয়া একখান গাড়ী ও দুইটা গরু এবং কবরস্থানের জন্ত কিঞ্চিৎ জমী খরিদ করিয়া দিতে প্রস্তুত আছি। এরূপ মৃতশরীর বহন জন্ত কাহাকেও আর কষ্ট পাইতে হইবে না এবং আমরাও বিনা আহবামে মৃতবহ গাড়ীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ সাহেবদের মত দুঃখ করিতে করিতে গোরস্থান পৰ্য্যন্ত যাইয়া কবর দেওয়া দেখিয়া আসিতে পারিব। কেন—আমরা কি গোরস্থানে যাই না ? গোরস্থানে যাওয়া আমাদের অভ্যাস নাই ? সে দিনও চ্যাম্বারলেন সাহেবের মৃত্যু হইলে গিয়াছিলাম এবং শোক প্রকাশের চিহ্নস্বরূপ তিন দিন তিন রাত্রি কাল বনাত ছেড়া হাতে বেঁধেছিলাম। অতএব তোমরা সকলে একমত হইয়া যাহাতে বাঙ্গালীদিগের গোর দেবার ব্যবস্থা হয়, তৎপক্ষে যত্নবান হও।” ইহার পর শববহনকারীর আবার হরিধ্বনি দিয়া মৃতদেহ স্কন্ধে উঠাইয়া লইয়া ভাগীরথীতারাভিমুখে চলিল। দেবতারাও দুঃখ করিতে করিতে বাসায় আসিলেন। বাসায় আসিয়া সকলে আহারাদি করিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করেন এবং অপরাহ্লে আবার নগর ভ্রমণে বহির্গত হন। কিছু দূরে যাইলে বরুণ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।