২৪৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন কহিলেন “পিতামহ । সম্মুখে ঐ যে ধ্বংসাবশিষ্ট অত্যন্নমাত্র অট্টালিকা দেখিতেছেন, ঐ স্থানে নবাবের প্রাসাদ ছিল। ওদিকে দেখুন মুঙ্গের জেল।” উপ । ঠাকুর কাকা, চলন আমরা জেলে যাই! নারা । তোমার যে প্রখর বুদ্ধি,তোমার ভাগ্যে জেলে যাওয়াই ঘটবে। বরুণ। ও বলে কি ? নারা । জেল দেখুবে। বরুণ । না রে—পৈতে ছিড়ে দেবে। ব্ৰহ্মা। বরুণ! পৈতে ছিড়ে দেবে কি ? বরুণ। এক সময়ে মুঙ্গের জেলে একজন সিভিল সার্জন দুইজন পাচক ব্রাহ্মণের পৈতে ছিড়ে দিয়াছিলেন । এই পৈতা ছেড়ায় জেলের মধ্যে মহা গোলযোগ উপস্থিত হইবার উদ্যোগ হয়। দুই জন বৃদ্ধ কয়েদী ২/৩ দিন উপবাস করিয়াছিল । ব্ৰহ্মা। ম্যা—যজ্ঞোপবীত ছিড়ে দিলে ?—কেন ? বরুণ। কেন তা তিনিই জানেন । দেখুন পিতামহ । এই স্থানে পূৰ্ব্বে নবাবের সৈন্ত সামস্ত থাকিত। যে স্থানে তাহার স্বপ্রশস্ত বারিক ও বারুদের ঘর ছিল, সেই স্থানে এই জেলখানা প্রস্তুত হইয়াছে। এখান হইতে সকলে আদালতের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলেন । বরুণ দেখাইতে লাগিলেন এটা কালেক্টরি, এটা ফৌজদারী, ওদিকে ঐট রেজেষ্টারী আফিস, ঐ গৃহে মুন্সেফ বসিয়া বিচার করেন, ওদিকের গৃহে ডেপুটী বাবুর আফিস। দেবগণ দেখিলেন—আদালতগুলির নিকটস্থ প্রাঙ্গণে, বৃক্ষতলে, রাস্তার ধারে অসংখ্য লোক বসিয়া আছে। কেহ ষ্ট্যাম্প বিক্রয় করিতেছে, কেহ জলখাবার খাইতেছে, কেহ কুপ হইতে জল তুলিতেছে, কেহ খাবার বিক্রয় করিতেছে। কোন স্থানে কানে কলম, হাতে কাগজ মোক্তারের দল উকীলের সহিত পরামর্শ করিতেছে । কোন স্থানে কোন আসামী মকদ্দমায় জয়লাভ করায় আদালতের চাপরাশীরা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।