S.G. o দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। উভয় সম্প্রদায় কেরাণীর মধ্যে গবর্ণমেণ্ট আফিসের কেরাণীরা কিছু অপব্যয়ী। ইহঁদের সামান্ত দোষে কৰ্ম্ম যায় না, তদ্ভিন্ন বৃদ্ধ বয়সে কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেও কিছু কিছু পেন্সন পাইয়া থাকেন ; এজন্ত ইহার উপাজ্জিত অর্থ সঞ্চয় করিয়া রাথিতেও তাদৃশ মনোযোগী হয়েন না। ইহঁাদিগকে বখেয়ালি অর্থাৎ যাত্রা, থিয়েটার, খেম্ট, বাইনাচ ইতাদিতেই বেশী ব্যয় করিতে দেখা যায়। রেলকেরাণীর উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করিতে জানেন, কারণ ইহাদের চাকুরী কবে আছে—কবে নাই—তাহার কিছু স্থিরতা নাই এবং রেলওয়েতে পেন্সনেরও কোন বন্দোবস্ত নাই । ইহঁারা মিতব্যয়ী এবং ইহঁাদিগকে দানধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অর্থাৎ ধৰ্ম্মসভা ও দাতব্য সভা ইত্যাদির দিকেই বেশী খরচ করিতে দেখা যায়। ব্ৰহ্মা । রেলওয়ে কেরাণীদিগের ত বিশেষ গুণ আছে ! এই সময়ে সকলে মুঙ্গেরের বাজারে যাইয়! উপস্থিত হইলেন। তাহার দেখেন—বাজারটতে অসংখ্য দোকানঘর রহিয়াছে দোকানগুলির উপরে আফিসের কেরাণীদিগের বাসা । দোকানে হরেক রকম দ্রব্যসামগ্ৰী বিক্রয় হইতেছে। কোন দোকানে আবলস কাষ্ঠের সুন্দর সুন্দর বাক্স বিক্রয়ার্থ সাজান রহিয়াছে। বাক্সগুলির গাত্রে ও ডালায় হাতির দাতের কারুকার্য্য করা। কোন দোকানে কলমদানি, কোঁটা, আলমারি বিক্রয় হইতেছে। কোন দোকানে বেনাগাছের পাখা, গমের গাছের ফুলের সাজি, বাক্স, পেতে বিস্তর প্রস্তুত হইতেছে । তদ্ভিন্ন চাউল, হুক, আরসি, চিরুণীরও অসংখ্যা দোকান রহিয়াছে। বাজারটা প্রথমে অনেক দূর পর্য্যস্ত সোজা হইয়া চলিয়া গিয়াছে। তৎপরে বামে ও দক্ষিণ দিকে আবার কতকগুলি শাখা প্রশাখা হইয়া ভিতর দিকে প্রবেশ করিয়াছে। সেই সমস্ত গলির মধ্যে অসংখ্য দোকান আছে, কিন্তু এমন অন্ধকার যে প্রবেশ করিতে ভয় হয়। বরুণ কহিলেন “মুঙ্গেরের চক অনেকাংশে কলিকাতার বড়বাজারের সদৃশ ।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।