মুঙ্গের ՀG:ծ এখান হইতে দেবতারা কিছু দূরে যাইয়া দেখেন, একটি গৃহমধ্যে কয়েক ব্যক্তি চক্ষু মুদ্রিত করিয়া বসিয়া আছেন এবং এক ব্যক্তি একটা বেদিতে উপবেশন করিয়া কহিতেছেন--“হে করুণাময় ! হে বিভু ! হে হরি ! হে নদী। আমাদিগকে উদ্ধার কর । বালক যেমন ধূলি মাখে, ক্ষুধায় কাতর হইলে কঁাদে, অথচ ধূলি যে কি, ক্ষুধা হয় কেন—তাহ সে জানে না, হে হরি ! হে করুণাময়! তুমি যে কি তাহা আমরা অবগত নহি—আমাদিগকে উত্তোলন কর, আমাদিগের গাত্র হইতে পাপৰূপ ধূলা মুছাইয়া দিয়া কোলে লও।” বরুণ । পিতামহ ! মুঙ্গের ব্রাহ্মসমাজ দেখুন। ব্ৰহ্মা। ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মসংখ্যা এত কম কেন ? বরুণ। ব্রাহ্মসমাজে সময়ে সময়ে উন্নতি অবনতি দৃষ্ট হইয়া থাকে। যখন কোন আফিসে কোন ব্রাহ্ম বড় বাবু আসেন, তখন ইহার উন্নতি হয়। অনেক কেরাণী, বাবুর প্রিয় হইবার আশায় কপট ব্রাহ্ম সাজিয়া সমাজে আসিয়া থাকেন ; আবার সেই ব্রাহ্ম বড় বাবু স্থানান্তরে বদলি হইলেই সভ্যসংখ্যা হ্রাস হইয়া থাকে। এক্ষণে এখানে কোন ব্রাহ্ম বড় বাবু না থাকাতে সমাজের অবস্থাও ভাল নহে। মুঙ্গের এই ব্রাহ্মসমাজটীর জন্যও বড় বিখ্যাত। ইন্দ্র । এই ব্রাহ্মসমাজের জন্ত মুঙ্গের বিখ্যাত কেন ? বরুণ। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বর্তমান প্রচারক ঐযুক্ত বাবু কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের মুঙ্গের দ্বিতীয় লীলাভূমি। এই নগরে তাহার অনেক লীলাখেলা হইয়া গিয়াছে তন্মধ্যে ব্রাহ্ম ও ব্রান্ধিকাদিগের সহিত চর-ভ্রমণই বড় বিখ্যাত । এক দিন কেশব সকলের সহিত চরভ্রমণে যাইয়া পরমব্রহ্মের উপাসনাদি করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মদিগের মধ্যে তাস খেলাও এখানকার একটী মন্দ লীলাখেলা নহে। এখানকার ব্রাহ্মেরা এই সময় কেশব বাবুকে অবতার স্থির করিয়া পাতের প্রসাদ খাইতেও উদ্যত হইয়াছিল । ইন্দ্র। তাহার কেশব বাবুকে কোন অবতার স্থির করেন ?
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।