মুঙ্গের ミQQ ফুটাইয়া রাখিয়াছে, ঐ স্থানকে তাহারা প্রেতশিলা কহে এবং যাত্রীদিগকে । বলিয়া থাকে—এই স্থানে পিণ্ডার্পণ করিলে পিতৃপুরুষগণ প্রেতত্ব হইতে মুক্তিলাভ করেন। ইহার পর দেবগণ অপর দ্বার দিয়া বাহিরে গিয়া দেখেন—অনবরত জল বাহির হইয়া দূবে একটী ক্ষুদ্র নদীর আকার ধারণ করিয়াছে। দেবতার সীতাকুণ্ড দেখিয়া বিশেষ সুখী হইলেন এবং গরম গরম জলে পৈতা সাফ করিয়া লইলেন। র্তাহারা তথা হইতে ভিতরে প্রবেশ করিয়া রামকুণ্ডের নিকট উপবেশন করিলে ব্রহ্মা কহিলেন “বরুণ সীতাকুণ্ডের উৎপত্তির কথা বল ?” বরুণ। শ্রীরামচন্দ্র সীতার উদ্ধার করিয়া প্রত্যাগমন করিবার সময়ে মুঙ্গেরের কষ্টহারিণী ঘাটে বসিয়া বিশ্রাম ও স্নান করিয়াছিলেন। ঐ সময়ে কষ্টহারিণীঘাটের অপর পারে বসিয়া অনেকগুলি মুনি ঋষি তপস্ত করিতেছিলেন। ঐরামচন্দ্র স্নানান্তে সীতা, লক্ষ্মণ এবং হনুমান সহ তাহাদিগকে ফল প্রদান করিতে যাইলে মুনিগণ প্রত্যেকের ফল গ্রহণ করেন ; কিন্তু সীতার ফল গ্রহণ করেন নাই। রামচন্দ্র কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন “সীতা অনেক দিন রাবণগৃহে একাকিনী বাস করিয়া ছিলেন, রাবণের চরিত্রও নিতান্ত মন্দ ছিল ; অতএব সীতা, সতী কি অসতী বিশেষরূপ না জানিলে তাহার ফল কি প্রকারে গ্রহণ করা যাইতে পারে?” মুনিগণের মুখে এই কথা শুনিয়া রাম লক্ষ্মণ অবনত মস্তকে রহিলেন।. তাহাদের অবস্থা দেখিয়া মুনিগণ পুনরায় কহিলেন “জনক ঋষি আমাদের সকল ঋষির শ্রেষ্ঠ । অতএব তিনি যদি বলেন–র্তাহার কুহিতা সতী, তাহা হইলে ফল গ্রহণ করা যাইতে পারে।” হনুমান এই কথা শ্রবণে তদণ্ডে জনকপুরে যাত্রা করিলেন । কিন্তু জনক রাজা কহিলেন “সীতা যত দিন অবিবাহিত অবস্থায় তাহার নিকট ছিলেন, ততদিন তিনি র্তাহার বিষয় জানিতেন। তৎপরে যখন তিনি র্তাহাকে স্ত্রীরামচন্দ্রের হস্তে অর্পণ করিয়াছিলেন, তখন
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।