পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের ኟ® . পাহাড়ের উপর একটা সুন্দর অট্টালিকা দেখিতেছেন, উহা কলিকাতার মৃত প্রসন্নকুমার ঠাকুরের। ঐ অট্টালিকার গৃহগুলি অতি সুন্দর ও পরিষ্কাররূপে সাজান আছে। প্রচুর অর্থব্যয়ে পৰ্ব্বতের উপর যে কুপ খনন করা হয়, সে কুপটও বৰ্ত্তমান আছে, কিন্তু জল উঠে না। পৰ্ব্বতের উপর মুসলমান দেবতা পীরের মসজিদ থাকায় পীরপাহাড় নাম হইয়াছে। ব্ৰহ্ম ৷ প্ৰসন্নকুমার ঠাকুর কে ? বরুণ। ইনি কলিকাতার পাথুরিয়াঘাট নিবাসী গোপীমোহন ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। এই মহাত্মা আজীবন স্বদেশের উন্নতি সাধনেই রত ছিলেন । মৃত্যুকালে ইনি যে উইল করেন, তাহাতেও সদ্বিষয়ে দানের বন্দোবস্ত করিয়াছেন। মূলাযোড় প্রভৃতি স্থানে ইহার বিদ্যালয় প্রভৃতি অনেকগুলি সৎকীৰ্ত্তি আছে। ইনি ইংরাজী ভাষায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। কলিকাতার সিনেট হলের সিড়ির উপর ইহার একট পাথরের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে।. মুঙ্গেরের জল হাওয়া ভাল বলিয়া এবং এ প্রদেশে তাহার অনেক বিষয় বিভব থাকায় এই বাড়ীট জনৈক ইংরাজের নিকট হইতে খরিদ করেন। নারায়ণ পুনরায় অশ্বপৃষ্ঠে কশাঘাত করিলেন। অশ্বস্বয় হাপাইতে হাপাইতে বেলা আন্দাজ একটার সময়ে তাহাদের বাসায় পহুছিয়া দিল । আহারান্তে দেবগণ পাইচারি করিতেছেন, হঠাৎ দেখিলেন, বাসার গেটে একখানি কাগজ টাঙ্গান রহিয়াছে। পাঠ করিয়া জানিতে পারিলেন, অদ্য অপরাহ্লে চারিটার পর মুঙ্গের আর্য্যসভায় ধৰ্ম্মবিষয়ে একটা বক্তৃত৷ হইবে । বিজ্ঞাপন দেখিয়া দেবতারা অত্যন্ত বিস্ময়ান্বিত হইয়া পরস্পর কহিতে লাগিলেন—“এ কি ! এই ছৰ্দ্ধান্ত কলির রাজ্য বিস্তার সময়ে ধৰ্ম্মের নাম ! ধৰ্ম্মালোচনা ! চল, বক্তৃতা শুনিতে হইবে।” বলিয়া সকলে চারিট বাজিতে না বাজিতে আর্য্যসভা-গৃহে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইয়। দেখেন, একটা দ্বিতল গৃহে আৰ্য্যসভা। গৃহটা অতি স্বপ্রশস্ত এবং পরিষ্কাররূপে সাজান। গৃহভিত্তিতে আর্টষ্টুডিওর অনেকগুলি