পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬e দেবগণের মর্ত্যে আগমন স্বনার স্বন্দর হিন্দু দেব-দেবীর প্রতিমূৰ্ত্তিগুলি এমন পরিষ্কাররূপে অঙ্কিত যে, দেবগণ চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন প্রত্যাগমনের সময়ে কলিকাতা হইতে এক সেট খরিদ করিয়া লইয়া যাইবেন। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ আর্য্যসভাট প্রতিষ্ঠা হইবার কারণ কি ? বরুণ। এখানকার কয়েকজন আৰ্য্যসন্তানদেখিলেন যে, আপনার আর্য্য ধৰ্ম্ম বা বৈদিক ধৰ্ম্ম ক্রমে ক্রমে লোপ হইতে চলিল। খ্ৰীষ্টান ও ব্রাহ্ম প্রভৃতি সম্প্রদায়ের দিন দিন যেরূপ উন্নতি, হয় ত কিছুদিন পরে আপনার বেদেরও নাম গন্ধ থাকিবে না। কারণ উহ। ত রেজেষ্টারী করা হয় নাই। সকলেই বলিবে আমাদের স্ব স্ব প্রণীত। এই আশঙ্কায় উক্ত আৰ্য্য সন্তানের লোকের মনে সনাতন ধৰ্ম্মের উদ্রেক করিবার নিমিত্ত এবং লুপ্ত সংস্কৃত বিদ্যার পুনরুদ্ধার করিবার মানসে এই আর্য্যসভা এবং ইহার সংলগ্ন একটা সংস্কৃত পাঠশালা সংস্থাপিত করেন। ইহাদের সাধু ইচ্ছায় সন্তুষ্ট হইয়া মুঙ্গেরের কোন জুমীদার এই বাড়ীটি সভার উদ্দেশ্রে দান করিয়াছেন। আর্য্যসভার সভ্যগণের এমন ইচ্ছা আছে, কয়েকজন প্রচারক দেশ বিদেশে পরিভ্রমণ করিয়া ধৰ্ম্ম প্রচার দ্বারা লোকের মনে আর্য্যধৰ্ম্মের উদ্দীপনা করিবেন। ইহাদের এই সাধু প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হইয়া জমীদার রায় অন্নদাপ্রসাদ রায় বাহাদুর এক সময় চার সহস্র টাকা দান স্বীকার করেন এবং আরো কিছু সাহায্য করিবেন বলেন। ক্রমে অসংখ্য শ্রোতৃবর্গ আসিয়া উপস্থিত হইল এবং যথাসময়ে তানমান-লয় বিশুদ্ধ কয়েকটা ধৰ্ম্মসংগীত গান করা হইলে এক যুবা দাড়াইয়া বক্তৃতা আরম্ভ করিলেন – “বন্ধুগণ ধৰ্ম্মই জগতের একমাত্র সহায়। ধৰ্ম্মের দ্বারাই অধৰ্ম্ম ও পাপের ধ্বংস হইয়া থাকে, ইহা শ্রুতিতে উক্ত আছে। মনুষ্যমাত্রেই ঈশ্বরকে জানিতে চাহে, ঈশ্বরকে দেখিতে চাহে এবং এই জন্যই সকলেই সাম্প্রদায়িক রীত্যনুসারে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া থাকে। যদি খ্ৰীষ্টানকে জিজ্ঞাসা