মুঙ্গের ૨૭> করা যায়, কি প্রকারে ঈশ্বরের দর্শন পাওয়া যায় ? তিনি কহিবেন "ীষ্টকে বিশ্বাস কর, তাহার দর্শন পাইবে।” যদি মুসলমানকে জিজ্ঞাসা করা যায় তিনি কহিবেন—“মহম্মদোক্ত উপাসনা-পদ্ধতি অবলম্বন কর, তাহাকে প্রাপ্ত হইবে।” ইত্যাদি ( সকলের করতালি ) । আমি হিন্দু—আমার কি উপায় অবলম্বন করিলে ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হওয়া যায় এই মাত্র প্রধান উদ্দেশু । অধুনা অনেকে—(ব্রহ্মার করতালি ) । নারা । পিতামহ ! বেতাল হ’ল ! ব্ৰহ্মা। তুমি থাম। ফল হাতে ক’রে বসা হয়নি মনে আছে ? বক্তা। অধুনা অনেকে স্ব স্ব রুচি অনুসারে কার্য্য করিয়া থাকেন, তজ্জন্তই বর্তমান সময়ে ধৰ্ম্মবিপ্লব ঘটিয়াছে। আমার মতে তোমার আমার রুচি পরিত্যাগ করিয়া আৰ্যখষিগণ যে পথ অবলম্বন করিয়াছিলেন, সেই পথ অবলম্বন করা উচিত এবং তাহাদের উপদেশ গ্রহণ করা কর্তব্য । দেখ ধৰ্ম্ম এক, ধৰ্ম্ম কুখন দুই হইতে পারে না। পূৰ্ব্বকাল হইতে শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণাদি কোন গ্রন্থেই “ধৰ্ম্ম” শব্দ, ভিন্ন “আৰ্য্যধৰ্ম্ম” বা “হিন্দুধৰ্ম্ম” ইত্যাদি কোন বিশেষ নাম উল্লেখ ছিল না। এক্ষণে খৃষ্টীয়, মহম্মদীয় ইত্যাদি বিবিধ ধৰ্ম্ম হইতে বিশেষ করিবার জন্ত আৰ্য্যধৰ্ম্ম নাম দিতে হইয়াছে। (সকলের করতালি ) । যেমন কোন আফিসে—(ব্রহ্মার করতালি ) নারা । ঐ আবার বেতাল হ’ল ! ব্ৰহ্মা। মার খাবি ? না হয় ত বল উঠে যাই। আমার ভাল লাগচে, তালি দিচ্চি, তুই এমন বিরক্ত করতে বস্লি কেন ? এক শ্রোতা । আহা ! ওঁকে বিরক্ত করিবেন না। বোধ হয় কখন বক্তৃতা শোনেন নি, তাই বেতালে তালি দিচ্চেন। বক্তা। যেমন কোন আফিসে কতকগুলি বাবু থাকিলে বড় বাবু, ছোট বাবু ইত্যাদি নামে ডাকিতে হয়, তদ্রুপ বহু ধৰ্ম্ম হইতে বিশেষ করিবার জন্ত আৰ্য্যধৰ্ম্ম নাম দিতে হইতেছে । শ্রীতিপ্রতিপাদ্য ধৰ্ম্মই
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।